বিবিসি বাংলা :
বাংলাদেশের যেসব এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেশি, সেসব এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউন করা হবে। লকডাউন চলাকালে ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে।
দেশের বাকি এলাকার জন্য এখনকার মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গণপরিবহনসহ সব চালু থাকবে।
এ বিষয়ে আজ রোববার একটি প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। “যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ জন মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, সেগুলোকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণা করে লকডাউনের আওতায় আনা হবে। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে সংক্রমণের বিস্ফোরণ হয়নি, এবং প্রতিদিন মৃত্যুহার ৫০ এর নিচেই আছে এখনো, সে কারণে আমাদের মনে হয়েছে আমরা যদি এখন জোনভিত্তিক লকডাউন করতে পারি, তাহলে হয়তো এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”
এর আগে এ বিষয়ে প্রস্তাবের একটি সারাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনি সেটি অনুমোদন করেছেন, এবং আজ পরের দিকে সেটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এর আগে মার্চের ২৬ তারিখ থেকে কয়েক দফায় মোট ৬৬দিন সাধারণ ছুটি ছিল। এরপর ৩১ শে মে থেকে ১৫ই জুন পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে অফিস খুলে দেয়া হয়। পাশাপাশি চালু হয় গণপরিবহন এবং অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল। প্রতিমন্ত্রী মি. হোসেন বলেছেন, ১৫ই জুনের পর থেকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউনের কাজ শুরু হবে।
তিনি জানান, যেখানে ‘রেড জোন’ হবে সেই এলাকাকে ব্লক করা হবে। ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। রেড জোনে লকডাউন বাস্তবায়ন করবে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা, এবং জেলা প্রশাসন।
প্রতিমন্ত্রী মি. হোসেন বলেছেন, “রেড জোনে দেয়া লকডাউন ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে। সেখানে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় বুথ বসানো হবে। সেখানে চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। খাবার, ওষুধ ও বাজারের সব ব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে ভেতরেই করা হবে। সবদিক থেকে ওই এলাকাটিকে ঘিরে দেয়া হবে যাতে মানুষ বাইরে বের হতে না পারে, এবং বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে না পারে।” তবে, ‘রেড জোনে’র বাইরের এলাকার আর সাধারণ ছুটি দেয়া হবে না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখনকার মত সীমিত পরিসরে সবই চালু থাকবে। “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সংক্রমণ কমানো, সে কারণে অফিস-আদালত, ব্যাংক এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এখনকার মত সীমিত পরিসরে কাজকর্ম চালু করা হয়েছে, অর্থাৎ এখন যেভাবে স্বল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে চলছে সেভাবেই চলবে আরও কিছুদিন। গণপরিবহনও চলবে।” কোন কোন এলাকা লকডাউন করা হবে সেটি ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি সমন্বিত ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মি. হোসেন।