সুপ্রভাত ডেস্ক»
দেশে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনের মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮২২ জন। এ সংখ্যা এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।
দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৩ জনে। মোট শনাক্ত সংখ্যা দাঁড়াল ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জনে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ২৬২টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৯২৭টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৫০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৫ জনের মধ্যে ১৭ জন ঢাকার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৩, রাজশাহীতে ২৩, খুলনায় ৩০, বরিশালে ২, সিলেটে ৩, রংপুরে ১১ এবং ময়মনসিংহে ৬ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭২ জন পুরুষ এবং ৪৩ জন নারী। এদের মধ্যে ৯ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৪ হাজার ৫০৩ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৩২৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ১৭৮ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৭ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ জন রয়েছেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন ৭ হাজার ৬৬৬ জন। যা এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। গতকাল একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১২ জনের মৃত্যু হয়। দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৩৮৮ জনে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।