সুপ্রভাত ডেস্ক »
আগামী ১ ডিসেম্বর ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের বিরতিহীন ট্রেনটি কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এই ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। টিকিট অনলাইন এবং কাউন্টারে পাওয়া যাবে। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টেশনের জন্যও টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। চট্টগ্রামের জন্যও টিকিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
রেলের পূর্বাঞ্চলের দেওয়া সময়সূচি অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন থেকে ছাড়বে ট্রেনটি। চট্টগ্রামে পৌঁছাবে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে। ২০ মিনিট যাত্রাবিরতি দিয়ে ছাড়বে বিকাল ৪টায়। রাত ৯টা ১০ মিনিটে পৌঁছাবে ঢাকায়। একইভাবে ঢাকা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৪০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিট যাত্রাবিরতি দিয়ে রাত ৪টায় রওনা দিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। উভয় দিক থেকে গন্তব্যে যেতে সময় লাগবে আট ঘণ্টা ৩০ মিনিট। তবে ঢাকা থেকে সোমবার এবং কক্সবাজার থেকে মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে ট্রেনটি। এই দুই দিন একমুখী গন্তব্যে চলাচল করতে পারবেন যাত্রীরা।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের নম্বর ৮১৩ ও কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেনের নম্বর ৮১৪ নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে। ৭৮০ জন যাত্রী বহন করবে মোট ১৮টি কোচ। যেখানে থাকবে এসি চেয়ার কোচ ৮টি এবং নন–এসি চেয়ার কোচ ১০টি। ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ১৮ বগির মধ্যে চট্টগ্রামবাসীর জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুটি বগি। কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ‘ঘ’ স্নিগ্ধা ও ‘ট’ শোভন চেয়ারের দুটি কোচ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের জন্য।
ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া এক হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের এক হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ভাড়া দুই হাজার ৩৮০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ৬৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।