নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ইমন হাসান (১৭) নামের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা নিহতের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল তাদের গ্রেফতার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বছর তিনেক আগে শহরের বইল্ল্যাপাড়ার বায়তুশ শরফ মসজিদের মাহফিল চলাকালীন কথা কাটাকাটির জেরে পৌরসভার পেশকারপাড়ার আবদুল্লাহ খানকে ছুরিকাঘাত করে ইমন ও তার সঙ্গীরা। আর এই ঘটনার বদলা নিতেই বৃহস্পতিবার রাতে ইমনকে ছুরিকাঘাত করে আবদুল্লাহ ও তার কয়েকজন সঙ্গীরা।
এ বিষয়ে নিহতের পিতা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবদুল্লাহ ও তার সঙ্গীরা মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করেছে।
তিনি আরো বলেন, তিন বছর আগের ঘটনায় আবদুল্লাহ পরিবার মামলা করে। বিষয়টি সামাজিকভাবে তিন লাখ টাকায় মীমাংসা হয়। যার দুই লাখ টাকা ইতিমধ্যে আবদুল্লাহর পরিবারকে দেয়া হয়েছে। বাকি ১ লাখ টাকা আদালত থেকে মামলা নামিয়ে নিলেই দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয় স্থানীয় মুরব্বিরা। মামলা মীমাংসা দিতে আদালতে আবেদনও করে মামলার বাদি। কিন্তু এরই মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে ছেলেকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহতাবস্থায় ইমনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে মারা যায় ইমন।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনিরুল গিয়াস বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া এঘটনার জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ঘটনায় সরাসরি জড়িত এমন তথ্য পাওয়া গেলেও অপরজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার বড় বাজারের ছালাম মার্কেটের সামনে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। নিহত ইমন সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব মোক্তার কুলের বাসিন্দা ও বড় বাজারের খরুলিয়া পলিথিন হাউসের মালিক মো. হাছানের ছেলে। সে ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।