নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে সাজ সাজ রব অবস্থা বিরাজ করছে। বিগত ২০১৭ সালের ৬ মে’র পর তিনি কক্সবাজার আসছেন। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।
আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের ২৮ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে ৫৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন যোগ্য তালিকা চূড়ান্ত করেছেন। জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তালিকায় উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত ২৮ প্রকল্প হল, কক্সবাজার গণপূর্ত উদ্যান, বাহারছড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠ, কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভবন, উপজেলা ভূমি অফিস ভবন, পেকুয়া, কক্সবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ভবন, শেখ হাসিনা জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর চারতলা একাডেমিক ভবন, আবদুল মাবুদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের চার তলা একাডেমিক ভবন, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর চারতলা একাডেমিক ভবন, কক্সবাজার জেলার লিংক রোড-লাবনী মোড় সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ, টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ জেলা মহাসড়ক এর হাড়িয়াখালী হতে শাহপরীরদ্বীপ অংশ পুনঃনির্মাণ, প্রশস্তকরণ এবং শক্তিশালীকরণ, বাঁকখালী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন, সেচ ও ড্রেজিং প্রকল্প (১ম পর্যায়), শাহপরীরদ্বীপে সী ডাইক অংশে বাঁধ পুনঃনির্মাণ ও প্রতিরক্ষা কাজ, ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডারসমূহের পুনর্বাসন প্রকল্প, রামু কলঘর বাজার-রাজারকুল ইউপি সড়কে বাঁকখালী নদীর উপর ৩৯৯.০০ মিটার দীর্ঘ সাংসদ ও রাষ্ট্রদূত ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী সেতু, কক্সবাজার জেলায় নবনির্মিত ৬টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন, ৪টি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন (রামু, টেকনাফ, মহেশখালী ও উখিয়া), কক্সবাজার পৌরসভার এয়ারপোর্ট রোড আরসিসিকরণ ও অন্যান্য, শহিদ সরণি আরসিসিকরণ ও অন্যান্য, বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম সড়ক আরসিসিকরণ ও অন্যান্য, নাজিরারটেক শুটকি মহাল সড়ক আরসিসিকরণ ও অন্যান্য, টেকপাড়া সড়ক আরসিসিকরণ ও অন্যান্য, সী বিচ রোড আরসিসিকরণ ও অন্যান্য, মুক্তিযোদ্ধা সরণি আরসিসিকরণ ও অন্যান্য, সৈকত-স্মরণ আবাসিক এলাকা সড়ক আরসিসিকরণ ও অন্যান্য।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য থাকা ৪ প্রকল্প হচ্ছে, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প, কুতুবদিয়া উপজেলাধীন ধুরুং জিসি মিরাখালী সড়কে ধুরুংঘাটে ১৫৩.২৫ মিটার জেটি এবং আকবর বলি ঘাটে ১৫৩.২৫ মিটার জেটি নির্মাণ, মহেশখালী উপজেলাধীন মহেশখালী গোরকঘাটা ঘাটে জেটি নির্মাণ, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদী বরাবর পোল্ডারসমূহের পুনর্বাসন প্রকল্প।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তরের তালিকায় আরও প্রকল্প যুক্ত হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী ওইদিন উখিয়ার ইনানীস্থ বঙ্গোপসাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৌ মহড়ায় অংশগ্রহণ শেষে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের নিকটবর্তী লাবণী পয়েন্টের শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন।