নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
করোনাভাইরাস সংক্রমণপ্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে কক্সবাজার জেলার ৩টি এলাকায় গত মঙ্গলবার (২৩ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই আদেশ বুধবার (২৪ জুন) থেকে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত কার্যকরের জন্য প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
কক্সবাজার জেলার ৩টি রেড জোন ঘোষিত এলাকার সীমানা হল: কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন কক্সবাজার পৌরসভা, টেকনাফ উপজেলাধীন টেকনাফ পৌরসভা ও উখিয়া উপজেলাধীন রাজাপালং ইউনিয়নের ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাড়ি বাজার, পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ও থাইংখালী বাজার।
উলেস্নখ্য গত শনিবার এই অঞ্চলগুলো রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় ২৪ জুন হতে ১১ জুলাই পর্যন্ত। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (২৩ জুন) রাতে প্রজ্ঞাপনটি জারি করে।
জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। দেশজুড়ে দুই মাসের লকডাউনের পর করোনাভাইরাসের বিসত্মার ঠেকাতে এখন সংক্রমণপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নানা বিধিনিষেধ আরোপের কৌশল নিয়েছে সরকার।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এ নিয়ে জেলায় ৪৬ জন রোহিঙ্গাসহ করোনা আক্রানেত্মর সংখ্যা দাঁড়ালো ২ হাজার ১৯৭ জনে। এদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলার ৯৮৮ জন, রামু উপজেলার ১৮৫ জন, উখিয়া উপজেলার ২৬০ জন, টেকনাফ উপজেলার ১৯৫ জন, চকরিয়া উপজেলার ৩০৭ জন, পেকুয়া উপজেলার ৯২ জন, মহেশখালী উপজেলার ৮৯ জন ও কুতুবদিয়া উপজেলার ৩৫ জন বাসিন্দা রয়েছে। এছাড়াও উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা ৪৬ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। এদের মধ্যে ৫ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের (কমেক) অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, গত ১ এপ্রিল থেকে কমেকের ল্যাবে করোনা আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ দিনে কমেক ল্যাবে সন্দেহভাজন মোট ১৫ হাজার ৯৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।