দীপন বিশ্বাস, কক্সবাজার »
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে রেলসংযোগ একটি নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। এশিয়ার বৃহৎ এবং ঝিনুকের আদলে তৈরি আইকনিক এ রেলস্টেশন ‘কক্সবাজার এখন থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
তিনি গতকাল বহুল প্রতীক্ষিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। শনিবার দুপুর ১টায় এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পর্যটননগরী কক্সবাজারে সড়ক, নৌ, বিমানপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকলেও নতুন করে যুক্ত হয়েছে রেলপথ।
সেইসঙ্গে এ প্রকল্পের অধীন নির্মিত দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশনেরও উদ্বোধন করেন তিনি। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয় কক্সবাজার।
এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। দুপুর সোয়া ১২টায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সুধী সমাবেশ পৌঁছার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এরপর অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিশুদের সঙ্গে ছবি তোলেন। এরপরই মঞ্চে ওঠেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি শুভেচ্ছা স্মারক। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার রেল যোগাযোগের মাধ্যমে সমগ্র দেশকে কক্সবাজারের সঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি রেল পরিষেবা, গতি ও পরিবহনকে বিশ্বমানের করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমগ্র বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার (রেল সংযোগের মাধ্যমে) যাত্রা সহজ করতে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, দেশবাসী এখন কক্সবাজার থেকে পঞ্চগড়, রাজশাহী, দেশের দক্ষিণাঞ্চল, সুন্দরবন পর্যন্ত রেলপথ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
মজার সুরে তিনি আরও বলেন, ‘কেন গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়াকে ছেড়ে দেওয়া হবে (রেলসংযোগ থেকে) তার মানে সারা বাংলাদেশ কক্সবাজারের সঙ্গে যুক্ত হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার অথবা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার, দক্ষিণাঞ্চল সুন্দরবন থেকে কক্সবাজার এমনটি গোপালগঞ্জ-ফরিদপুর অর্থাৎ সমগ্র বাংলাদেশ থেকেই যাতে সহজে কক্সবাজার আসা যায় সেই পদক্ষেপও আমরা নেব। এই যোগাযোগগুলো সম্পন্ন হলে আমাদের পর্যটনের ক্ষেত্রে একটা বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি ছোটবেলা থেকেই স্থানীয় একটি দাবি শুনে এসেছেন চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন ছিল। কাজেই এই দোহাজারী থেকে কক্সবাজার কবে রেললাইন আসবে? সেকথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে এটা করতে পারায় তিনি খুবই আনন্দিত। এটা রামু পর্যন্ত করা হয়েছে এবং ঘুমধুম পর্যন্ত করার কথা। এ জন্য আমরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসতে চাই। ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের সাথে আমরা সংযুক্ত হতে চাই। সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ৩৯টি মেজর ব্রিজ করতে হয়েছে, ২৪৪টি ছোটও মাঝারি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, ৯টি স্টেশন ও আধুনিক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগনালিং ব্যবস্থা ইনস্টল করা হয়েছে। একটি ওভারপাস ও দু’টি আন্ডারপাস ও নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ রেললাইনটা চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে যাতে সংযুক্ত হয় তার ব্যবস্থাও আমরা করে দেব। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো উন্নত হয়।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মিলে সম্প্রতি খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত ব্রডগেজ রেল চলাচলের উদ্বোধন করেছে। যে লাইনটা এক সময় খালেদা জিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতে উন্নীত হয় সেই পদক্ষেপই আমরা নিয়েছি এবং সেটা আমরা বাস্তবায়ন করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন বিএনপি-জামায়াতের চোখে পড়ে না। আসলে তারা অন্ধ। চোখের চিকিৎসায় আধুনিক চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। মাত্র ১০ টাকায় সেখানে চিকিৎসা নেওয়া যায়। তাদের অনুরোধ করবো, সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। তাদের চোখের দোষ না, এটা তাদের মনের অন্ধকার। এদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তারা ধ্বংস জানে, সৃষ্টি জানে না। তারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট যখন আমার বাবা-মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তখন আমি আর আমার ছোট বোন রেহানা দেশের বাইরে ছিলাম। আমাদের দেশে আসতে দেয়া হয়নি। রিফিউজি হিসেবে বিদেশের মাটিতে আমাদের থাকতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ যখন আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে, তখন সিদ্ধান্ত নিই দেশে ফিরব। আমার দশ বছরের ছেলে এবং আট বছরের মেয়েকে তাদের বাবা ও রেহানার কাছে রেখে আসতে হয়েছিল। রেহানার সঙ্গে দিয়েছিলাম জয়কে। সে তার দায়িত্ব নিয়েছিল। আমি চলে আসি বাংলার মাটিতে। জানতাম না, এই মাটিতে ফিরে এসে বেঁচে থাকতে পারবো কিনা। যেখানে আমার বাবা-মা, ভাই ও আত্মীয়স্বজনদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, এমন একটি দেশে এসেছিলাম, যেখানে আমার বিচার পাওয়ার অধিকার ছিল না। খুনিদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল দূতাবাসের চাকরি দিয়ে। যারা যুদ্ধাপরাধী তারা তখন মন্ত্রী। যারা সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাদের কারাগার থেকে বের করে নিয়ে এসে বানানো হয়েছিল উপদেষ্টা, মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সেই ধরনের একটি পরিবেশের ভেতরে ফিরে আসি একটি প্রত্যয় নিয়ে। লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। বাংলাদেশকে পরিবর্তন করতেই হবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র থেকে মুক্তি দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে হবে। এটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। দেশের রেল নেটওয়ার্ক, সড়ক, স্কুল, মাদ্রাসা দেখলে তা বুঝা যায়। দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে। এসব কিছু সরকারের আন্তরিকতার কারণে হয়েছে। এই সরকার জনবান্ধব সরকার। বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরাই শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি দেশ বিক্রি করার রাজি না হওয়ায় চক্রান্ত করে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। তাতে আমার দুঃখ নেই। কারণ আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারো হাতে তুলে দিতে রাজি না।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন করবো কথা দিয়েছিলাম, কথা রাখলাম। কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এখানে রেল সংযোগ করতে পেরে আমি আনন্দিত। এই এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল, সেটা পূরণ হলো। আজকের দিনটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য গর্বের দিন।
সুধী সমাবেশে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘সারা দেশে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর জন্য সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সব মিটার গেজ লাইনকে ব্রড গেজ লাইনে পরিণত করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে যেসব ট্রানজিট পয়েন্ট বন্ধ ছিল, সেগুলো চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই রেলযোগাযোগের ফলে সারা দেশের সঙ্গে নতুন পথ উন্মোচন হয়েছে।’
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেলযোগাযোগ ছিল না। শুরুতে এটি ছিল দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প। এতে মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কথা ছিল। পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। এখন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করার পর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকায়। সেই হিসাবে কিলোমিটার প্রতি খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজারে স্টেশন নির্মাণেই ব্যয় হয়েছে প্রায় ২১৫ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে নিজস্ব তহবিল থেকে।
জানা গেছে, দুপুর ১টায় উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে ১টা ২১ মিনিটে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে ১টা ২৭ মিনিটে স্টেশন থেকে রামুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেন।
আইকনিক রেলস্টেশন
আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। স্টেশনে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সব ধরনের ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক এ রেলস্টেশনের উদ্বোধন করেছেন। একই সময়ে তিনি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনেরও উদ্বোধন করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ঝিলংজায় ২৯ একর জমিতে ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে চোখ ধাঁধানো আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন। পুরো স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ। ছাদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা বাড়তি আলো ব্যবহার করতে হবে না স্টেশনে। আর অত্যাধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে ‘গ্রিন স্টেশন’।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন গণমাধ্যমকে বলেন, ছয়তলার এই স্টেশনে রয়েছে চলন্ত সিঁড়ি, মালামাল রাখার লকার, হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংমলসহ আধুনিক সব সুবিধা। ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা সম্বলিত স্টেশনটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যেখানে আছে কনভেনশন হল, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথ, এটিএম বুথ, প্রার্থনার স্থানও। স্টেশনে ফুড কোর্ট, হোটেল ও শপিং কমপ্লেক্সের বিষয়টি বাইরের এজেন্সি দ্বারা টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।
ডিসেম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে নতুন রেললাইনের উদ্বোধন হলেও ট্রেনে করে সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার যেতে ভ্রমণপিপাসুদের আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (১১ নভেম্বর) এ রুটটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। এরপর চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি চলাচল শুরু হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এ রুটে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৬ টাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫৫ ও সর্বোচ্চ ৭৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হলে প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে।
এ রুটে দুটি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব থাকলেও ঢাকা থেকে প্রথম দিকে দিনে একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলবে। রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান জানিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে এ রুটে ট্রেন বাড়বে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে।
রেল সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে রাত সাড়ে ১০টায় যাত্রা করে বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে বিরতি দিয়ে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছাবে ট্রেন। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে। ফিরতি পথেও চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করবে। মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে ট্রেনটির। পরে এ রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়বে।