নিজস্ব প্রতিবেদক:
আল্লামা মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন কাদেরীর (রহ.) অমরকীর্তিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য জমিয়তুল ফালাহ সংলগ্ন ওয়াসার মোড়কে আল্লামা মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন চত্বর ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পিএইপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
গতকাল বিকালে অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন আলকাদেরী (রাহ.) এর ৫ম বার্ষিক উরস শরিফ আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রামের শাহাদত-এ কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদ ও আল্লামা মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন আলক্বাদেরী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জালাল উদ্দীন আলকাদেরী ছিলেন পরিচ্ছন্ন, হাস্যোজ্জ্বল, সদালাপী, মিষ্টভাষী ও পরোপকারী। বিপদ-আপদ ও প্রতিকূল অবস্থায় ধৈর্য ও দূরদর্শিতার সাথে পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে সক্ষম ছিলেন। তিনি প্রতিশোধপরায়ণ ছিলেন না। সর্বদা ঈমান, আকিদাহ্ এবং মায্হাবে ইস্তিক্বামত ও আমলে দৃঢ়-আপোষহীন ছিলেন। জাতিগত বিবাদ-বিসম্বাদ কালে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় সজাগ ছিলেন। তিনি সবসময় প্রতিপক্ষকে সম্মান দিয়েই কুরআন-সন্নাহর আলোকে বাস্তব ও যুক্তিনির্ভর আলোচনা করতেন, তথ্যনির্ভর দলিল পেশ করতেন।
ইসলাম প্রসারে জালাল উদ্দীন আলকাদেরীর ভুমিকা তুলে ধরে সুফি মিজান বলেন, তিনি বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তান, ভারত, মায়ানমার, সউদী আরব, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইরাক, ওমান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ইসলাম প্রচার, হানাফী মাযহাব, সুন্নী আকিদাহ ও কাদেরিয়াহ তরিকার প্রচার-প্রসার কাজে বহুবার দাওয়াতী সফর করেন।
তাঁর অর্জন নিয়ে আলোচনায় পিএইপি ফ্যামিলির সভাপতি বলেন, তিনি ২০০১ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ মনোনীত হয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী পদক’ ও ২০০৪ সালে রাষ্ট্রপতি পদক লাভ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৬ নভেম্বর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন আলকাদেরীর (রাহ.) ৫ম বার্ষিক উরস শরিফ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দু’আ মুনাজাতের আয়োজন করা হবে জানানো হয়।