সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
এমনিতে তিনি ব্যাটিং পান সাধারণত ৭, ৮ বা ৯ নম্বর পজিশনে। লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবেই পরিচিতি মেহেদি হাসান মিরাজের। তবে দলের প্রয়োজনে এর আগে ওয়ানডেতে ওপেন করেছেন। লিটন দাসকে নিয়ে গড়েছিলেন শতরানের জুটি। আরও একবার মিরাজ ওপেনিংয়ে সুযোগ পেলেন, আবারও করলেন বাজিমাত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন একদম নিচের দিকে, ৮ নম্বরে নেমে। দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা এলো ওপেনিংয়ের মতো কঠিন পজিশনে। মিরাজ তার ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার আর জায়গাই রাখলেন না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকাল রোববার ১১৫ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন মিরাজ। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। খবর জাগোনিউজের।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য সহায় হয়েছে সাকিব আল হাসানের। প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওপেনিংয়ে চমক। নাইম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪৭ বলে জুটিতে ফিফটি পূরণ করেন এই দুজন। ১০ ওভারে হয় ৬০ রানের জুটি। নাইম শেখকে বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। নাইম ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ২৮ রান। পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে তিন নম্বরে নামেন তাওহিদ হৃদয়। সুবিধা করতে পারেননি। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয় (০)। তার উইকেটটি নেন গুলবাদিন নাইব।
ব্যাটিংটা তিনি ভালোই পারেন। ওয়ানডেতে আছে সেঞ্চুরিও। তবে দলের প্রয়োজনে নিচের দিকেই বেশিরভাগ ব্যাটিং করতে হয় মেহেদি হাসান মিরাজকে। আবার দলের প্রয়োজনে ওপেনিংয়ে নেমেও অতীতে করেছেন বাজিমাত। আরও একবার মিরাজ সুযোগ পেলেন ওপেনিংয়ে। ১০ ওভার পার করে ওপেনিংয়ে শুধু ৬০ রানের জুটি গড়াই নয়; মিরাজ হাঁকিয়েছেন দুর্দান্ত এক ফিফটি। ৬৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি।
নাজমুল হোসেন শান্তও তার দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখেছেন। আগের ম্যাচে চাপের মুখে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এর আগে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন শান্ত। এটি তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি।