নিজস্ব প্রতিবেদক »
এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এলো খুশির ঈদ। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সোমবার অথবা মঙ্গলবার উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে গত দু’বছর ঈদে কোলাকুলি থেকে বিরত ছিলেন বিশ্বের মুসলমানরা। কিন্তু এ বছর করোনা সংক্রমণ কমে আসায় নির্বিঘ্নে ও আনন্দে ঈদ উদযাপন করবে মুসলিম সম্প্রদায়।
বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়। সে অনুযায়ী আজ রোববার চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। যদি আজ দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না যায়, তবে সোমবারসহ মোট ত্রিশ রোজা পালিত হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে মঙ্গলবার।
জানা গেছে, সোমবার নাকি মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে তা নিয়ে আজ (রোববার) সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় ১৪৪৩ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ঈদের জামাত
নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে ঈদের নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়। প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম হাফেজ মৌলানা আহমদুল হক। তাছাড়া লালদীঘি জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও সকাল ৮টায় সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, সকাল সোয়া ৮টায় কদমমোবারক জামে মসজিদে এবং হযরত শেখ ফরিদ (র) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।