সুপ্রভাত ডেস্ক »
এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়ার পর ওই সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করতে ইউরোপের দেশগুলোর জোট এ সহযোগিতা দেবে বলে আশা প্রধানমন্ত্রীর।
গতকাল বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দফতরে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের উন্নয়নে সহায়তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে।’ খবর বিডিনিউজের।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের (ইআইবি) মধ্যে ৩৫০ কোটি ডলারের বেশ কয়েকটি চুক্তি হয় বলে জানিয়েছে বাসস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ফন ডার লেয়েন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উন্নীত হয়ে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গণ্য হবে। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অনুমোদন পায়।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটলে কোনো দেশ শুল্কমুক্তসহ অন্যান্য সুবিধা পাবে না।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চায়। ‘আমরা গাজা, ইউক্রেন ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানে চলমান যুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা একমত হয়েছি।’
তিনি বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রিত ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনই এ সংকটের একমাত্র সমাধান। তিনি দ্রুত এ সংকটের টেকসই সমাধানে যুক্ত হয়ে এগিয়ে আসতে ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানান।