সুপ্রভাত ডেস্ক »
সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের পর লোৎসে পর্বত জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী। এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের দুদিন পর ৮৫১৬ মিটার উচ্চতার লোৎসে পর্বতের শীর্ষ ছুঁলেন তিনি।
প্রথম কোনো বাংলাদেশি হিসেবে এক অভিযানে দুই শৃঙ্গ জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়লেন ৩৩ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী। পর্বতারোহনের পরিভাষায় একে বলা হয় ডাবল হেডার।
বাবর আলীর সংগঠন ভার্টিকাল ড্রিমার্স তাদের ফেসবুকে পেজে আজ সকালে বিবৃতি দিয়ে এই আনন্দের খবরটি জানিয়েছে।
‘আজ নেপালের স্থানীয় সময় ভোর ০৫:৫০ মিনিট (বাংলাদেশ সময় ০৬:০৫ মিনিট) এ বাবর দাঁড়ালো বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ শৃঙ্গ লোৎসে চূড়াতে। আজ তিন দিন ধরে রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার হলো অবসান। আমরাও পারি! আমাদের দিয়েও সম্ভব!.
এটিই এই বাংলাদেশের কোন সন্তানের প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুইটি আটহাজারি শৃঙ্গ সামিট।
এই জাতি অন্তত একটা দিন আনন্দে মাতুক। তবে ভুললে চলবেনা বাবর এখন নেমে আসা শুরু করেছে। এবং বেসক্যাম্পে পৌঁছালেই হবে মূল উৎসব।’
রোববার (১৯ মে) সকালে ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছান বাবর। এর মধ্য দিয়ে ১১ বছর পর বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আবার কোনো বাংলাদেশির পা পড়ে।
তার আগে ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি এভারেস্ট জয় করেন। তারা হলেন– মুসা ইব্রাহিম, এম এ মুহিত (দুবার), নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরীন ও মো. খালেদ হোসাইন।
এভারেস্ট থেকে নেমে এসে রোববার রাতে ক্যাম্প–৪ এ বিশ্রাম নেন বাবর আলী। তারপর সোমবার রাতে লোৎসের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এ অভিযান পরিচালনা করছে ট্রেকিং ও পর্বত অভিযান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান স্নোয়ি হরাইজন। তাদের তত্ত্বাবধানে এভারেস্ট ও লোৎসে অভিযানে যান বাবর। এভারেস্টের মত লোৎসে অভিযানেও বাবরের সঙ্গে ছিলেন তার শেরপা বীর বাহাদুর তামাং।
বাবর ২৩ মের মধ্যে নিরাপদে বেজক্যাম্পে নেমে আসবেন এবং আগামী ৩ জুন দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বুড়িশ্চর এলাকার লেয়াকত আলী এবং লুৎফুন্নাহার বেগম এর দ্বিতীয় সন্তান বাবর ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫১ তম ব্যাচের ছাত্র। কিছুদিন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করলেও পর্বত অভিযানের জন্য ছুটি না মেলায় চাকরি ছেড়ে দেন।
এবারের অভিযানে বাবরের ব্যয় বহন করেছে ভিজ্যুয়াল নিটওয়্যার লিমিটেডসহ সাতটি প্রতিষ্ঠান। কিছ অর্থ এসেছে ক্রাউড ফান্ডিং ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে।