সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের কারণে মাঠে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী ও মোহামেডানের ম্যাচটি দেখতে পারেননি অনেকেই। তবে ম্যাচের ফল দেখে এক দিক দিয়ে স্বস্তি পেতে পারেন সমর্থকরা। আবারও দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে জেতেনি কেউ! প্রিমিয়ার লিগে ফিরতি পর্বের ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ গোলে।
প্রথমবার কুমিল্লাতে আবাহনী দুইবার এগিয়ে থেকেও জিততে পারেনি। সেবার ড্র হয়েছিল ২-২ গোলে। এবার অবশ্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মোহামেডান শুরুতে গোল করে অগ্রগামিতা লাভ করেছিল। আবাহনীও সমতা ফেরাতে বেশি সময় নেয়নি। কিন্তু ড্র করে দু’দলই আবার পিছিয়ে পড়েছে। বসুন্ধরা কিংস ১৬ ম্যাচ খেলে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে অনেক এগিয়ে আছে। সেখানে আবাহনীর অবস্থান ১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়। সমান ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে মোহামেডান। এই অবস্থায় বসুন্ধরাকে ছোঁয়া বেশ কঠিন।
রবিবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটি পাল্টা-পাল্টি আক্রমণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। প্রথমার্ধেই হয়েছে দুই গোল। ১১ মিনিটে আক্রমণে গিয়েছিল আবাহনী। কিন্তু জুয়েলের পাসে সানডের শট পোস্ট ঘেঁষে চলে যায়। ২০ মিনিটে মোহামেডানও ভালো সুযোগ নষ্ট করে। সোলেমান দিয়াবাতের পাসে ইয়াসান উয়াচিংয়ের শট পোস্টের নিচে লেগে ফিরে আসলে গোল পাওয়া হয়নি।
২৪ মিনিটে লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি সানডে।৬ মিনিট পর মোহামেডান প্রথম লক্ষ্যভেদ করে। ৩০ মিনিটে হাস্যকর ভুলে এগিয়ে যায় তারা। সোলেমান দিয়াবাতের লব হেড করতে গিয়েও পারেননি আফগান ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানি। ক্যামেরুনের ইয়াসান বক্সে ঢুকে গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেলের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন।
সাদা-কালো শিবিরের অগ্রগামিতা ছিল ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পরের মিনিটে সমতায় ফেরে আকাশি-নীল জার্সিধারিরা।
মোহামেডানের ডিফেন্ডার কোলিদিয়াতি ভুল পাসে বল তুলে দেন রাফায়েলের পায়ে। সানডের সঙ্গে একবার বল দেওয়া নেওয়া করে এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের শট উরু নাগাতার পায়ে লাগার পর সুযোগসন্ধানী টোকায় জাল খুঁজে নেন হাইতির বেলফোর্ট।
বিরতির পরও আবাহনী এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। এই অর্ধে মারিও লেমসের দল আরও গোছানো ভঙ্গিতে খেলেও গোল পায়নি। ৫৫ মিনিটে দারুণ এক গোল পেতে পারতেন মামুনুল ইসলাম। কিন্তু আবাহনীর এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডারের কর্নার বাঁক খেয়ে দূরের পোস্টে লেগে ফিরে। ৭২ মিনিটে বেলফোর্টের হেড ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে সেই সুযোগটিও মিস হয়েছে।
শেষ দিকে অবশ্য মোহামেডানকে আরও চেপে ধরেছিল আবাহনী। গোলকিপার সুজন বল তুলে দেন মামুনুলের পায়ে। আবাহনীর এই মিডফিল্ডারের শট সোজা আসায় গোলকিপারের তালুবন্দী করতে সময় লাগেনি। শেষ পর্যন্ত ১-১ স্কোরলাইন রেখেই ম্যাচ শেষ হয়েছে।