সুপ্রভাত ডেস্ক :
মানুষ এবং আকাশচুম্বী ভবন দুইয়ে মিলে হংকংয়ের সড়কগুলোকে যেন আরো ব্যস্ত করে তুলেছে। আর এই কারণেই হংকং একটি কংক্রিট জঙ্গল হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। ক্যারি বে পূর্ব হংকংয়ের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। প্রতি বছর এখানে শিল্প এবং আবাসিক যায়গার বৃদ্ধি ঘটে। তবে কোনো বিল্ডিং ‘মনস্টার বিল্ডিং’ এর মতো এতোাও ঘনবসতিপূর্ণ নয়।
হ্যাঁ, মনস্টার বিল্ডিং। স্থানীয়রা বিল্ডিংটিকে এই নামেই ডাকে। তবে এতে মনস্টার বা দানব বাস করে না। এটি আসলে পাঁচটি সংযোগকারী বিল্ডিংয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি ই-আকারের কমপ্লেক্স। ওশেনিক ম্যানশন, ফুক চেওং বিল্ডিং, মন্টেন ম্যানশন, ইয়িক চেং বিল্ডিং এবং ইয়িক ফ্যাট বিল্ডিং।
১৯৬০ সালে স্বল্প আয়ের বাসিন্দাদের জন্য সরকারি ভর্তুকিযুক্ত আবাসন সরবরাহের জন্য এটি নির্মিত হয়েছিল। তখন এখানে একটি মাত্র বিল্ডিং ছিল। পরে পরে এ রকম পাঁচটি বিল্ডিং একসঙ্গে সংযুক্ত হয়। ৬ দশক ধরে এভাবেই বিল্ডিংটা ক্রমশ সম্প্রসারিত হতে হতে এই জায়গায় এসে পৌঁছায়। দৈত্যকার বিল্ডিংটিতে মোট দুই হাজার ২৪৩টি রুম আছে। প্রায় ১০ হাজার মধ্যবিত্ত মানুষ এখানে থাকেন।
ভবনের উপরের তলাগুলো বসবাসের জন্য ব্যবহৃত হতো এবং নীচের তলা চা, মাছ এবং অন্যান্য মুদি ও গৃহস্থালীর পণ্য বিক্রির দোকান ব্যবহৃত হয়। নান্দনিকভাবে আকর্ষণীয় আর্কিটেকচারের কারণে, বিল্ডিংটি শহুরে এক্সপ্লোরার এবং ইনস্টাগ্রামারদের কাছে একটি প্রিয় স্থান হয়ে উঠেছে।
বিল্ডিংটি গোস্ট ইন শেল এবং ট্রান্সফরমারসহ একাধিক ছবির সেট হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। জনপ্রিয়তার বর্ধনের সাথে, অভ্যন্তরের আঙ্গিনায় জনসাধারণের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিল্ডিংয়ের ছবি তোলা আরো চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
ফিচার দেউড়ি