এক দফার লড়াইয়ে জিততে হবে

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় নোমান

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করছে। এ লড়াইয়ের সামনে যে বাধা থাকবে তা ভেঙে চুরমার করে দিতে হবে। আমাদের একদফার লড়াইয়ে জিততে হবে। সামনের যে লম্বা রাস্তা আমাদেরকে তা পার হতে হবে। তিনি গতকাল শনিবার বিকালে কাজির দেউড়ির একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেনকেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা ও অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার।

আবদুল্লাহ আল নোমান আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মূল লক্ষ্য হলো জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের অন্ন,বস্ত্র বাসস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। জাতীয় রাষ্ট্র যদি তৈরি করতে না পারি, তাহলে আমাদের যে লড়াই, সেটি শেষ হবে না। জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিভিন্ন দফা দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তারা এতটুকু অগ্রসর হয় নাই। আসুন আমরা যে কাজ পরিপূর্ণ করতে পারিনি, সেটি পূরণে আন্দোলন গড়ে তুলি।

‘নির্বাচনের আগে পরে জনগণের জানমালের পাহারা দিতে আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে’ বলে আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্যের জবাবে প্রধান বক্তা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, আওয়ামী লীগ কেন মাঠে থাকবে? তারা কি পুলিশ? তাহলে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। কারণ জনগণকে আওয়ামী লীগের পাহারা দিতে হবে না। বরং আওয়ামী লীগকে পাহারাদার দেয়ার জন্য পুলিশের দরকার হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পরেও বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। শহীদ জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. নসরুল কদির বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য বহু বছর ধরে যারা চেষ্টা করে আসছে, দলটির ৪৫ বছরপূর্তি তাদের জন্য নতুন একটি বার্তা। এ দলের বিরুদ্ধে বহু ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, বারবার দেশ ও গণতন্ত্রের সঙ্কটকালে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে জুলুম নির্যাতনকে সহ্য করে দুর্বার আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্যই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার শিকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মো. আজম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সদস্যসচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের অহ্বায়ক নুরুল হক, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবদুল আজিজ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি