নিজস্ব প্রতিবেদক
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরূপ এবার দেশের ১৯ বিশিষ্ট নাগরিক ও ২ প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক প্রদান করা হবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনের বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়।
যার মধ্যে ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য এবার একুশে পদক পাচ্ছেন লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মনিরুজ্জামান।
ড. মনিরুজ্জামান ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারত বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির চবি¦শ পরগণা জেলায় (বর্তমান ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মো নাদিরুজ্জামান ও মা মোসাম্মৎ ফরিদান্নেছা। প্রাথমিক জীবন কাটে ভারতের নৈহাটিবরানগন, চব্বিশ পরগণায়। ১৯৪৭ সালে তিনি পৈতৃক নিবাস আদিয়াবাদগ্রামে ফিরে আসেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৬০ সালে স্নাতক ও ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর করেন।
আশোক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর দিয়ে (১৯৬১-৬২) তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। পরে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ও বরিশাল বিএম কলেজ ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৮ সালে যোগদান করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে বাংলা বিভাগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পরে নজরুল ইনস্টিটিউট ঢাকা এর ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসওএএসএর ফেলো ছিলেন। তিনি রবীন্দ্র একাডেমির সিনিয়র সহ সভাপতি। দক্ষিণ ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ স্পিচ হিয়ারিং ও মহীশূরের ভিজিটিং লেকচারার হিসেবেও যুক্ত ছিলেন। ফোনেটিক সোসাইটি ইংল্যান্ড, লিংগুয়েস্টিক সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া, ইন্টারন্যাশনাল ড্রাভিডিয়ার লিংগুয়েস্টিক সোসাইটির এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বাংলাদেশের আজীবন সদস্য ড. মনিরুজ্জামান।
তাঁর ভাষা ,সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে ৩৫টির মতো বই ও শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ভাষা ও সাহিত্য সাধনা’, ‘ উপভাষা চর্চার ভূমিকা’, নিম পাতার তৈ তৈ’, ‘দোল দোল দোলনী’,‘বর্ণে বর্ণে নজরুল ’, ‘মনিরুজ্জামান শিশুসমগ্র’, ‘ভাষা সমস্যা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, ‘নুরজাহান ও শাহজাহান’, ‘পুরুষ পরম্পরা’, ‘বাংলাদেশ ও লোকসংস্কৃতি সন্ধান’, ভাষাতত্ত্ব অনুশীলন’ও ‘ নবাব ফয়জুন্নেসা’।