পোর্ট কানেকটিং রোড
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি মাসেই একপাশে গাড়ি চলাচলের জন্য উপযোগী হবে পোর্ট কানেকটিং রোড। আর তা নিশ্চিত করতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা নয়াবাজার থেকে অলংকার পর্যন্ত পুরোদমে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে অনেক স্থানে মেকাডমের কাজও শেষ। অপরদিকে অক্টোবরের মধ্যে নিমতলা থেকে তাসপিয়া পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে পোর্ট কানেকটিং রোডের কাজের অগ্রগতির জন্য চাপ দিতে থাকেন। তিনি প্রতিনিয়ত সড়কের নির্মাণকাজ তদারকি করতে সাইটে যাচ্ছেন।
এ পর্যন্ত কি অগ্রগতি হয়েছে তা দেখতে গতকাল রোববার অলংকার থেকে নিমতলা পর্যন্ত ৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কিছুদিন ধরে প্রকল্পটির ভাল অগ্রগতি হয়েছে। অলংকার থেকে সাগরিকা মাজার পর্যন্ত প্রকল্পের তিন নম্বর লট। এই লটে দ্রুত কাজ চলছে। রাস্তার একপাশের গর্তগুলো মেরামত করা হয়েছে। সাগরিকা মাজার থেকে তাসপিয়া পর্যন্ত রয়েছে দুই নম্বর লটটি। এই লটে সাগরিকা মাজার থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত রাস্তার অংশটি বেশি খারাপ। কিছুদিন থেকে রাস্তার পূর্বপাশ মেরামতের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সরাইপাড়া থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত মেকাডমের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হয়তো এই অংশটি পিচঢালাই হতে পারে।
অপরদিকে নয়াবাজার থেকে তাসপিয়া পর্যন্ত রাস্তার একপাশ গত বছর মেকাডম করা হলেও পিচঢালাই না হওয়ায় এ রাস্তাটি ঢেউ খেলে গেছে। আর তাসপিয়া থেকে নিমতল পর্যন্ত এক নম্বর লট। এই লটের বড়পোল ব্রিজ থেকে নিমতলা পর্যন্ত উভয়পাশে পিচঢালাই হলেও বড়পোল থেকে তাসপিয়া পর্যন্ত পশ্চিমপাশে হয়নি। তবে রাস্তার এ অংশে মেকাডম অনেক আগেই শেষ হয়ে আছে।
প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব বলেন, বড়পোল ব্রিজ থেকে তাসপিয়া পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশের পিচ ঢালাইয়ের কাজ আগামী মাসের মধ্যে শেষ হবে। এছাড়া তাসপিয়া থেকে অলংকার পর্যন্ত রাস্তার পূর্বপাশ গাড়ি চলাচলের জন্য উপযোগী করা হবে চলতি মাসের মধ্যে।
এ বিষয়ে কথা হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সড়কের নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে চাপ দিচ্ছি। একইসাথে নিজেও ভিজিটে যাচ্ছি। এ মাসের মধ্যে রাস্তার একপাশ গাড়ি চলাচলের জন্য যেভাবেই হউক প্রস্তত করা হবে। তারপর পশ্চিম পাশের কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, সিটি গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের আওতায় জাপানি সাহায্য সংস্থা জাইকার অর্থায়নে পোর্ট কানেকটিং সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজটি ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর শুরু হয়। ৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের কাজ শেষ করতে বাজেট ধরা হয় ১০০ কোটি টাকা। এটা ৫ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১২০ ফুট চওড়া করা হবে। উভয়পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ রয়েছে প্রকল্পের আওতায়। গত বছরের জুনে এসব কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।