নিজস্ব প্রতিবেদক >>
নগরের পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে। বিগত কয়েকদিনের তুলনায় বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। বাজারে প্রচুর গরু। সে তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম। হাটের ইজারাদারেরা বলছেন বাকি দুইদিনে বেচাকেনা বাড়বে। তবে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনাথীদের মধ্যে।
গতকাল রোববার নগরের বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে প্রচুর গরু মজুদ রয়েছে। বেপারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হাটে মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু এতে কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। হাটে নেমেছে বিপুল মানুষ। তবে অন্যান্য বছরের মত বাজারে অপ্রয়োজনে কেউ যাচ্ছেন না।
বিবিরহাটে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বাজারের সব থেকে বড় গরুটির দাম হাঁকাচ্ছে ৭ লাখ টাকা। এ গরুকে ঘিরে চলছে উল্লাস। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দর্শনার্থীর ভিড় লেগেছে। বাজারের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়, বেপারিদের মুখে নেই মাস্ক। ক্রেতারা বেপারিদের সাথে দর কষাকষিতে ব্যবহার করছেন না মাস্ক। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাস্ক ব্যবহারে জোর দিচ্ছেন। তারপরেও সচেতনতা আসছে না কারোর মধ্যে।
পতেঙ্গা টি.কে গ্রুপের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বাজারভর্তি গরু, তার তুলনায় ক্রেতার নেই। একটা গরু কিনতে এসেছেন ৫ জনেরও বেশি। ফলে এ মাঠে প্রচুর ক্রেতার ভিড় মনে হলেও গরুর তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখনো হাটে গরু আসছে। তবে জেলার বাইরে থেকে যা গরু আসার চলে এসেছে। আবার বেপারিরা বলছেন আজও আসতে পারে বেশ কিছু গরু। ফেরিতে যানজটে আটকে থাকার কারণে আসতে সময় বেশি লাগছে।
কোরবানি পশু কিনতে আসা সামাদ ইবনে বলেন, ‘এর মধ্যে অনেক মানুষ গরু কিনেছেন। কিন্তু হাটে এখনো অনেক গরু রয়ে গেছে। কাল (আজ) গরুর দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’
পতেঙ্গা টি.কে গ্রুপের মাঠে কোরবানি পশু হাটের ইজারাদার ওয়াহেদ চৌধুরী সুপ্রভাতকে বলেন, ‘হাট শুরুর পর থেকে আজ (গতকাল) থেকে আমাদের হাটে গরু বেচাকেনা জমে উঠেছে। এখনো প্রচুর গরু আসছে আমাদের হাটে। বর্তমানে প্রায় ৫ হাজারের অধিক গরু রয়েছে। চট্টগ্রামের বাইরে থেকে গরু না আসলেও বিভিন্ন উপজেলার গরু আসছে শেষ হাটে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানতে বার বার মাইকিং করে যাচ্ছি। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরাও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কাজ করছেন।’
উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি
জমে উঠেছে পশুর হাট