প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানের-২০২৩ ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল বিসিএসআইআর চট্টগ্রাম গবেষণাগারে ২ টি ফলজ লিচু ও আম গাছ রোপণের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিএসআইআর চট্টগ্রাম গবেষণাগারের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা, বিসিএসআইআর চট্টগ্রাম গবেষণা কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. দীপংকর চক্রবর্তী, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শ্রীবাস চন্দ্র ভট্টচার্য, প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. সাইফুল ইসলাম, বিসিএসআইআর-এর সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. জুয়েল দাশ, সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার রাশেদা আক্তার, সুমন দাশ, মো. সাইদুর রহমান, মো. আবু বকর, মাকসুদা বেগম, আবু জাহান মো. মোরশেদ প্রমুখ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ টেকসই পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন আধার সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৫ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ‘জাতীয় বৃক্ষ রোপণ অভিযান’। এ বছর জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য ‘গাছ লাগিয়ে যতœ করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ খুবই যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই বন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন বাড়ানোর জন্য সরকারি বনভূমিসহ প্রান্তিক ভূমিতে সামাজিক বনায়ন এবং উপকূলীয় এলাকায় নতুন জেগে ওঠা চরভূমিতে উপকূলীয় বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে, বন সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি দেশীয় স্থানোপযোগী প্রজাতির বনায়ন করে অবক্ষয়িত বন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে। এভাবে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন ২৫ ভাগে উন্নীত করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বায়ুম-ল থেকে কার্বন অপসারণ ও বন খাতের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য আমাদের সরকার কর্তৃক ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড প্লাস স্ট্রাটেজি’ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত প্রজাতির বৃক্ষের সঙ্গে পরিচয় এবং চারা সংগ্রহের জন্য বৃক্ষমেলার আয়োজন সহায়ক হবে। বিজ্ঞপ্তি