আউটার স্টেডিয়াম
১৯১টি খেলার মাঠ নির্মাণের সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরের কাজীর দেউড়ির আউটার স্টেডিয়ামের পূর্ব ও উত্তর পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি এবং ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের সমর্থনে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। দখলদারমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনাগুলো আগে ডি-মার্ক করা হয়েছিল। পরে তাদের দু’বার সময় দেওয়া হয়েছে তাদের স্থাপনাসহ প্রায়োজনীয় মালামাল নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে পারে। তাদের দেওয়া সময়ের শেষ দিন ছিলো ১৬ মার্চ। কিন্তু তারা সরে যায়নি। তাই আজকে (রোববার) এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় সিজেকেএস সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আউটার স্টেডিয়ামের উচ্ছেদ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আউটার স্টেডিয়ামের যে মাঠ রয়েছে সেটি আমরা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করেছি। মাঠের যে অংশটুকু রয়েছে সেটি লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সেখানে লাল খুঁটি দিয়ে দেব। মাঠের ভেতরে যদি কোনো স্থাপনা থাকে সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এ জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে। লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া জায়গা ধরে দেখা যায়, সিটি করপোরেশন থেকে যারা ইজারা পেয়েছেন তারা সবাই বাড়তি জায়গা দখল করে রেখেছেন। সেই বাড়তি জায়গাগুলো ভেঙে দেওয়া হবে। মাঠের মধ্যে যেসব স্থাপনা থাকবে সবগুলোই অপসারণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন- চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে এক বছরের মধ্যে ১৯১টি খেলার মাঠ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রাম নগরে আরও মাঠের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন সিজেকেএসের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় মানের খেলোয়াড় তৈরি করতে হলে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ আলাদা আলাদা পাঁচটি অনুশীলন মাঠ প্রয়োজন। বিশেষায়িত মাঠ না হলে ক্রীড়াঙ্গনে প্রকৃত সুফল প্রাপ্তি দুরূহ হয়ে উঠবে। জেলা প্রশাসক এই বিশেষায়িত মাঠের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন। আশা করছি, খুব দ্রুতই চট্টগ্রাম ফুটবল-হকি ও নারীদের জন্য পৃথক মাঠ পাবে।’