নিজস্ব প্রতিবেদক »
নুরুল আবছার পারভেজ, মোর্শেদ সিকদার এবং মাহমুদুল হাসান খান মে মাসে ৭টি মোটরসাইকেলসহ আরো অনেক পণ্যের জন্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জকে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেন। পাঁচ মাস অতিক্রম হলেও অর্ডারকৃত পণ্য আজ পর্যন্ত সরবরাহ করেনি ই-অরেঞ্জ প্রতিষ্ঠান।
নির্দিষ্ট সময় পার হলেও পণ্য না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আবছার পারভেজ (৩৫)। গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলার অন্য আসামিরা হলো প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ‘গত ২৭ মে’র পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন এই গ্রাহকরা। নির্দিষ্ট সময়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত তারা এসব গ্রাহকদের কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি। এর মধ্যে বাদি (নুরুল আবছার পারভেজ) ৪টি অর্ডারে ৪টি মোটর বাইকের জন্য ৫ লাখ ৭ হাজার টাকা, অপর গ্রাহক মোরশেদ সিকদার তিনটি বাইকের জন্য ৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, অরেকজন গ্রাহক মাহমুদুল হাসান খান দুটি মোটর বাইকের জন্য ২ লাখ ৮১ হাজার টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেন। তাছাড়া মোবাইল, গিফট ভাউচারসহ অন্যান্য পণ্যেরও অগ্রিম টাকা পরিশোধ করা হয়েছিল। টাকা পরিশধোর কিছুদিনের মধ্যে পণ্য গ্রাহকের নিকট পৌঁছানোর কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত কোন পণ্য বাদিসহ চট্টগ্রামের তিন গ্রাহকের নিকট সরবরাহ করা হয়নি।’
মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ‘ই-অরেঞ্জ সারা দেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা চট্টগ্রামের প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। প্রধানমন্ত্রীও দু-দিন আগে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।’
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতেও অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে সোনিয়া মেহজাবিন এবং মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লাতেও একই অভিযোগে মামলা হয়েছে।