ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) মুক্তিযুদ্ধে শহিদ নূতন চন্দ্র সিংহ ও ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে চালু হওয়া নতুন দুই বৃত্তির উদ্বোধনকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের দৃষ্টান্ত জাতির সামনে তুলে না ধরলে প্রজন্মান্তরে দেশপ্রেমের ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে না। নিখাদ দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের সংকটের এ ক্রান্তিকালে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ শুধু প্রশংসনীয় নয়, অনন্যও বটে। ইডিইউর উদ্যোগ অনুসরণ করতে পারে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও।
২৫ জুলাই বেলা ১২.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা রানা দাশগুপ্ত আরো বলেন, দলভিত্তিক রাজনীতির বাইরে থেকেও যে রাজনীতি সচেতন হওয়া যায়, সমাজের উন্নয়নে কাজ করা যায়, তার অনুপম দৃষ্টান্ত হলেন নূতন চন্দ্র সিংহ এবং বিনোদ বিহারী চৌধুরী। তাঁরা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানবকল্যাণে কাজ করে গেছেন। প্রধান বক্তা ছিলেন ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান, বৃত্তি দুটোর প্রস্তাবকারী সাঈদ আল নোমান।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি জাতির কৃতী সন্তানদের স্মৃতি রক্ষার্থে সবসময় সচেষ্ট। আমার পিতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আল নোমানের সঙ্গে নূতন চন্দ্র সিংহ ও বিনোদ বিহারী চৌধুরীর ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা ছিলো। শৈশব থেকেই আমি এ দুই ব্যক্তিত্বের দেশপ্রেম ও কৃতিত্বের কথা শুনে আসছি। সেই অনুপ্রেরণায় আমি তাঁদের নামে বৃত্তির প্রস্তাব রাখি। কেননা আমি মনে করি, প্রকৃত গুণীকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান না জানালে পরবর্তী প্রজন্মে এমন ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার ধারাবাহিতা ও অনুপ্রেরণা তৈরি হয় না।
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় প্রোগ্রাম এমএসসি ইন ডেটা এনালিটিক্স এন্ড ডিজাইন থিংকিং ফর বিজনেস প্রথমবারের বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। পাশাপাশি এমএ ইন ইংলিশ প্রোগ্রামটিকেও সাজানো হয়েছে আধুনিকতম কারিকুলামে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্থাপনকারী এ দুই মাস্টার্স প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা যাতে কম খরচে পড়তে পারে এবং একইসাথে বাংলার এ দুই কৃতি ব্যক্তিত্বকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের অবদান তুলে ধরা ও প্রজন্মান্তরে তাদের কর্মের অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দেওয়াই এ বৃত্তির লক্ষ্য।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সমন্বয়ে গঠিত ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। তারা দেশপ্রেম ও স্বদেশের মঙ্গল কামনায় নানা রকম সুযোগ-সুবিধায় সমৃদ্ধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়কে।
ইডিইউ কর্তৃপক্ষের বাংলার ইতিহাসের কৃতি ব্যক্তিত্বদের সম্মানিত করার উদ্যোগ এবারই প্রথম নয়। এর আগে বাংলাদেশে প্রথমবারের শুরু হওয়া মাস্টার অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড লিডারশিপ প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছে ইডিইউ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়ায়দুল করিম, বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দুলাল কান্তি মজুমদার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহানগরের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার পরিমল কান্তি চৌধুরী, ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি তাপস হোড়, মুক্তিযুদ্ধে শহিদ নূতন চন্দ্র সিংহের দৌহিত্র রাজীব সিংহ ও বাসুদেব সিংহ। বিজ্ঞপ্তি
ইডিইউকে অনুসরণ করতে পারে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বৃত্তির উদ্বোধনকালে রানা দাশগুপ্ত