নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার ফেরার পথে সমুদ্রে বিকল যাওয়া কর্ণফুলী জাহাজটি গতকাল ভোরে কক্সবাজার বিএমডব্লিউ ঘাটে এসে পৌঁছায়। রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে কক্সবাজার পৌঁছানোর কথা থাকলেও ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাজটি ঘাটে ভিড়ে। জানা যায়, ইঞ্জিন বিকল হওয়ার কারণে এ অবস্থায় পড়েন যাত্রীরা।
২৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর ২টার পর জাহাজটি সেন্টমার্টিন ছাড়ে। জাহাজে ৪০০ জনের মতো যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
ঘাটে পৌঁছানোর পর ওই জাহাজের যাত্রী শহীদুল ইসলাম বলেন, বুধবার দুপুর ২টায় জাহাজে উঠে কিছুদূর আসার পর কর্তৃপক্ষ জানায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় জাহাজ চলবে না। পরে দীর্ঘ সময় কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কিছুই জানায়নি।
যাত্রীদের দাবি, জাহাজটির ধারণক্ষমতা ৪০০ জনের হলেও এক হাজারের মতো যাত্রী বহন করে। সমুদ্রে আটকে থাকার সময় যাত্রীদের জন্য খাবার পাঠানোর ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানালেও প্রকৃতপক্ষে যাত্রীদের খাবার দেওয়া হয়নি। ছিল না লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা। এজন্য অনেকেই ভয়ে ছিলেন।
জাহাজের যাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবক জানান, আমি পুলিশের একজন কর্মকর্তা। পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করতে গিয়ে যে হয়রানির শিকার হয়েছি প্রশাসনের কর্মকর্তা হয়ে আমি লজ্জিত।
এ বিষয়ে পর্যটকরা বলেন, আটকে থাকার সময় তাদের খাবার দেওয়া হয়নি। অগ্রিম টিকিট ও হোটেল বুকিং থাকায় যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার দায় কে নেবে?
জানা যায়, ওই জাহাজের এক কর্মকর্তা ইঞ্জিন বিকল হয়ে বন্ধ হওয়ার কথা স্বীকার করায় কর্তৃপক্ষ তাকে সরিয়ে দেয়। প্রত্যেক পর্যটকের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এসবের কিছুই করা হয়নি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
এর আগে, জাহাজে ৪০০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে বঙ্গোপসাগরে আটকে যাওয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। পরে উদ্ধারের জন্য একটি টিম পাঠানো হয়।
জাহাজে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বরেও জাহাজটি একইভাবে মাঝ সমুদ্রে বিকল হয়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় পর্যটকরা অভিযোগ জানালেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। একদিন পর ফের একই ঘটনা ঘটল।