সুপ্রভাত ডেস্ক »
মহামারীর কারণে আটকে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভায় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। ওই দিন ১৬১ ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৯টি পৌরসভায় একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে। খবর বিডিনিউজের।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সভা শেষে এই তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে জুন মাসে ইউপি ভোট শুরু করেও এগিয়ে নিতে পারেনি ইসি। ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে ২১ জুন ২০৪টি ইউনিনে নির্বাচন হয়েছিল। তখন ১৬৭ ইউপির নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়।তবে প্রার্থী মারা যাওয়ায় পাঁচটি ইউপি এবং সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নে ভোট এই দফায়ও হচ্ছে না।
২০ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর ১৬১ ইউপি এবং ৯টি পৌরসভায় ভোট হবে। নয়টি পৌরসভার সবকটিতে এবং ১৬১ ইউপির মধ্যে ১১টিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে বলে ইসি সচিব জানান। প্রায় চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের বাকি সাধারণ নির্বাচন কয় ধাপে এবং কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
ইসি সচিব বলেন, ‘এ বছরের মধ্যে বাকি নির্বাচনগুলো সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ মাসের শেষে আরেকটি কমিশন বৈঠক হবে। সেখানে ইউপি ভোটগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় বসে।
এই সভায় কুমিল্লা-৭ উপনির্বাচন, সিটি, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়। কুমিল্লা-৭ আসনে উপনির্বাচনে ৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আলী আশরাফের আসনে উপনির্বাচন ৭ অক্টোবর
ইসি সচিব জানান, একই তফসিলে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে উপনির্বাচনও হবে।
এই উপনির্বাচনে উপজেলা পরিষদের ৯টি চেয়ারম্যান, ৬টি ভাইস চেয়ারম্যান; পৌরসভায় মেয়র পদে ১টি, কাউন্সিলর পদে ৫টি এবং বিভিন্ন সিটি করপোরেশেনের ৫টি কাউন্সিলর পদের জন্য ভোটগ্রহণ হবে ৭ অক্টোবর।
কমিশনের সিদ্ধান্ত জানাতে ইসির প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান, যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।