সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র বলেন, বিশ্বে প্রথম আমরাই রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যা এখন বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ইদানিং বিভিন্ন সাইনবোর্ড, আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজি ভাষায় ছাপার প্রবণতা বেড়ে গেছে, যা বাঙালি হিসেবে কাম্য নয়। এতে দেশের সংবিধানকে অবমাননা করা হয়। তাই ইংরেজিতে লেখা নামফলকগুলো বাংলা ভাষায় করতে হবে। এজন্য চসিকের পক্ষ থেকে যা করা প্রয়োজন সব পদক্ষেপই নেয়া হবে।
তিনি গতকাল সোমবার সকালে টাইগারপাস নগর ভবনে সম্মেলন কক্ষে বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতে এ কথা বলেন।
বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে সংবিধান, আইন আদালতের নির্দেশে অনুসারে সরকারি-বেসরকারি সকল অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামফলকে ৬০ ভাগ বাংলা লেখা প্রচলনের বিধান করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমাদের দাবি ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বিগত মেয়রের সময়ে অনেক ব্যাংক বীমা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে কালি লেপন করতে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু এখন অনেক নামফলক বিদেশি ভাষায় টাঙানো রয়েছে। এ কারণে আমরা আবারো মাঠে নামলাম। মেয়র বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের প্রতিনিধিদলের গৃহীত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
এ সময় বাংলা ভাষা প্রচলন উদ্যোগের পক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল হক শাহ, রাজনীতিক রাজা মিয়া, মহিন উদ্দিন, হাসান মারুফ রুমি, মশিউর রহমান খান, নারীনেত্রী আসমা আক্তার, রাজনীতিক ডা. শাহ আলম ভূঁইয়া, তৌহিদুল আলম কাজল, ছাত্রনেতা লিটন চৌধুরী রিংকু, কাজী রাজেস ইমরান, অপূর্ব নাথ, সুজাউদ্দোলা বাবুল, অনুবীক্ষণ পত্রিকার ইনতেখাব বাবুল ও মো. শফি উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
এ মুহূর্তের সংবাদ