নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
উখিয়ার সীমান্তবর্তী পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু শূন্যরেখা থেকে বিতাড়িত হয়ে তুমব্রু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা তাবু ছেড়ে পালাচ্ছে পার্শ্ববর্তী গ্রামে। তারা স্থানীয় ঘুমধুমের তুমব্রু সূর্যপাড়া, মগপাড়া, বাইশফাঁড়ি, উত্তর ঘুমধুমসহ নানা পাহাড়ি পথ ও স্থানীয় সংযোগ সড়ক দিয়ে নানা বাহনে পালাচ্ছে। আর ঢুকে পড়ছে নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন গ্রাম এলাকা এবং উখিয়ার কুতুপালংসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। বৃহস্পতিবার তুমব্রু গ্রামের বিভিন্ন লোকজন ও বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, ১৮ জানুয়ারি শূন্যরেখা রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) কর্তৃক ২৭ নেতা কর্মী হত্যার প্রতিশোধ নিতে মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) কমান্ডোরা অভিযানে নামলে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলি ও আগুনে পাঁচ রোহিঙ্গা নিহত ও দুই শিশু আহত হয়। নিখোঁজ হয় ডজনখানেকের বেশি শিশু। এ ঘটনার পর শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরে ৬৩০টির বেশি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তাতে চার হাজার ২শ রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়ে বাংলাদেশ ভূখ-ে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নেয়। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে ছিলো প্রায় ২২শ এর মতো রোহিঙ্গা।
এদিকে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ১৮ জানুয়ারির ঘটনার পর অন্তত ১ হাজার রোহিঙ্গা তুমব্রু ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছে। এখানে অনেকে নাই্যংছড়িতে, কেউবা রামু হয়ে লামা আলীকদমের দিকে পাড়ি জমাচ্ছে বলেও জানা গেছে।
তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম বলেন, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় দেখা গেছে হাজারো রোহিঙ্গা ত্রিপলের ছাউনির নিচে বসবাস করেছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, ত্রিপলের তাবুতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তারা কৌশলে পার্শ্ববর্তী গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে। এ সব ঠেকানো দরকার।