এলইডি সড়কবাতি স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শনে মেয়র
‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগরীতে মূলত আলোকায়ন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে এবং এই দায়িত্ব পালনের জন্যই নগরবাসী কর প্রদান করে। এই দুটি খাতের সফলতার উপরই নির্ভর করে চসিকের সক্ষমতা। তাই এই দু’টি খাতকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হয়।’
বুধবার রাতে নগরীর ৩০টি সড়কের ১২টিতে আলোকায়নে অধিকতর কার্যকর ও সাশ্রয়ী এলইডি বাতি স্থাপন কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি জানান, ৩০টি সড়কের নির্ধারিত ৭৫ কিলোমিটার অংশ জুড়ে এলইডি বাতি স্থাপনের ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মোট সড়কের অন্যান্য অংশেও এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ চলমান থাকবে।
তিনি আরো বলেন, সড়ক আলোকায়নের জন্য চসিক পিডিবিকে প্রাপ্যবিল পরিশোধ করে থাকে। সড়ক বাতি নেভানো জ্বালানোর দায়িত্বটি ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহের মূল ব্যবস্থাপনা পিডিবি’র। কিন্তু ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে কখনো কখনো নগরীর সড়ক আলোকায়ন বিঘিœত হয়। তা যেন না হয় এ জন্য পিডিবিকে সজাগ ও সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, নগরীর সড়ক আলোকায়ন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পর্যাপ্ত আলোকায়নের অভাব বা রাতে সড়ক অন্ধকারে ডুবে থাকলে নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ে এবং অপরাধ প্রবণতা ও দুঘর্টনাও বাড়ে। তাই এই ক্ষেত্রে কোন শিথিলতার অবকাশ নেই। তিনি আরো বলেন, আলোকিত নগরী চাই, এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
মেয়র বুধবার রাতে এলইডি বাতি সংস্থাপনরত আরকান সড়ক (বহদ্দারহাট-কালুরঘাট), কুয়াইশ-অক্সিজেন, নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা, মেরিন সিটি মেডিক্যাল রোড, জাকির হোসেন রোড, সিটি গেইট-অলংকার, ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড, কদমতলী রোড, আইসফ্যাক্টরি রোড, চট্টগ্রাম কলেজ রোড ও কাপাসগোলা রোড পরিদর্শন করেন এবং এখানে কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি