নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সংকেতে জাহাজশূন্য হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি। একইসাথে লাইটার জাহাজগুলোকেও উজানে থাকতে বলা হয়েছে এবং বড় জাহাজগুলোকে বহিঃনোঙ্গরে কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার পয়েন্টে থাকতে বলা হয়েছে। সোমবার বিকাল চারটার পর থেকে বন্দরের জেটি জাহাজশূন্য রয়েছে। একইসাথে বন্দরের সকল ইকুইপমেন্ট বেঁধে রাখা হচ্ছে।
দুর্যোগ সময়ে ছোটো জাহাজগুলোকে নদীর মধ্যে সবসময় ইঞ্জিন চালু রাখতে হয়। কেন ইঞ্জিন চালু রাখতে হয় সেবিষয়ে কথা হয় করিমস শিপিংয়ের গ্ল্যাডিয়েটর জাহাজে ক্যাপ্টেন মাজেদুল জাহানের সাথে। তিনি বলেন, আমরা এখন ব্রিজঘাট এলাকায় অবস্থান করছি এবং অনেক জাহাজ এই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাস ও পানির গতিবেগ বেড়ে যেতে পারে। এসময় একটি জাহাজ আরেকটি জাহাজকে গিয়ে আঘাত করতে পারে। তাই সব জাহাজের ইঞ্জিন স্টার্ট রেখে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্রুদের কাজ করতে হয়।
এদিকে বন্দর সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে তিনটায় চট্টগ্রামের জন্য ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পর থেকে বন্দরের জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে বহিঃনোঙ্গরে পাঠিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেসব জাহাজ থেকে পণ্য আনলোডিং হচ্ছে সেগুলো থেকে কনটেইনার নামানো হচ্ছে।
তবে সোমবার রাত পর্যন্ত ইকুইপমেন্ট প্যাক (বাঁধা) হয়নি বলে জানান বন্দরের টার্মিনাল পরিচালনাকারী সংস্থা সাইফ পাওয়ার টেকের প্রধান নির্বাহি ক্যাপ্টেন তানভীর হোসাইন। তিনি সোমবার রাত ৯টায় বলেন, আমরা এখনো পণ্য লোডিং ও আনলোডিংয়ের কাজ করছি। তবে যেহেতু তা মঙ্গলবার রাত থেকে আঘাত করবে তাই মঙ্গলবার সকালে জেটিগুলো খালি করা হবে। আর তারপর হয়তো ইকুইপমেন্টগুলো প্যাক করা হবে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে যাতে বন্দরের কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মঙ্গলবার মধ্য রাতের পর থেকে বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে। এজন্য মোংলা ও পায়রাকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ