পাহাড়তলীতে মিলল ১৫ হাজার লিটার ভোজ্যতেল
নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরীর পাহাড়তলী বাজারে এক মুদি দোকানের তিন গুদামে মজুত অবস্থায় ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল পেয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তেলের দাম বাড়লে বেশি মুনাফায় বিক্রির অসৎ উদ্দেশ্যে এসব গুদামজাত করেছে বলে জানিয়েছে অধিদফতর কর্মকর্তারা।
গতকাল সোমবার পাহাড়তলী বাজারের বিল্লি লেইনে সিরাজ সওদাগরের দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভোক্তা অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ বলেন, ‘সিরাজ সওদাগরের মুদি দোকানে প্রচুর তেল মজুত আছে বলে জানতে পারি। সেই তথ্যমতে সোমবার সকালে তার দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দোকানে বিক্রির জন্য অল্প পরিমাণ তেল রাখা ছিল। পরে তার তিনটি গুদাম পরিদর্শনে গেলে, সেইসব তালাবদ্ধ গুদামে বিভিন্ন কোম্পানির ১ হাজার কার্টনে বোতলজাত করা সর্বমোট ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল মজুত অবস্থায় পাওয়া যায়। এসব তেল জব্দ করে আশপাশের খুচরা দোকানদার ও সাধারণ মানুষের কাছে গায়ের দামে বিক্রি করা হয়ছে।’
সরকারিভাবে নতুন দর নির্ধারণের আগে এসব তেল কিনে গুদামজাত করা হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন দোকানি।
ফয়েজউল্লাহ বলেন, ‘তেল মজুত করায় সিরাজ সওদাগরকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুদিনে নগরে ও ফটিকছড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়েছে।’
এরআগে রোববার দুপুরে নগরীর ষোলশহরে কর্ণফুলী মার্কেটের ‘খাজা স্টোরে’ অভিযান চালিয়ে একটি গোপন কুঠুরিতে রাখা এক হাজার ৫০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। শনিবারে ফটিকছড়ি উপজেলার বাগানবাজার এলাকার দক্ষিণ গজারিয়া গ্রামে মুদি দোকানি আকতার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২৮ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন।