সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
নামিবিয়ার ম্যাচ খেলেই ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন আসগর আফগান। আফগানিস্তানের ক্রিকেট উত্থানে যার বড় ভূমিকা। এই বিদায়ী ক্ষণটা আফগানিস্তান জয়ে রাঙিয়েছে ঠিকই। টি-টোযেন্টি বিশ্বকাপে নামিবিয়াকে হারিয়েছে ৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
ব্যাট-বলে কোন বিভাগেই আফগানিস্তানকে বিপদে ফেলতে পারেনি নামিবিয়া। বরং দাপুটে পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় শুরুতে। নাভিন উল হক, হামিদ হাসান ও গুলবাদিন নাইবের গতি ঝড়েই নামিবিয়া পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছে। ৬৯ রানে হারায় ৭ উইকেট। বড় ইনিংস বলতে প্রাণভোমরা ডেভিড ভিসাই ৩০ বলে ২৬ রান করেছেন। তার বিদায়ের পর দলটি ৯ উইকেটে থামে ৯৮ রানে। তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ৩ ম্যাচে আফগানদের দ্বিতীয় জয়।
পেসার হামিদ হাসান ৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। আরেক পেসার নাভিন ২৬ রানে সম সংখ্যক উইকেট নিয়েছেন। ১৯ রানে দুটি নেন গুলবাদিন নাইব। একটি নিযেছেন রশিদ খান
টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান ৫ উইকেটে করেছে ১৬০ রান। পাওয়ার প্লেতে ঝড়ো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও মোহাম্মদ শাহজাদ। ২৭ বলে ৩৩ রানে ফেরেন জাজাই। রাহমানুল্লাহও ৪ রানে ফিরলে তখন শেষ বারের মতো মাঠে নামেন আসগর আফগান। বিদায়ী ম্যাচে তাকে গার্ড অব অনার দেয় নামিবিয়া।
শেষ ম্যাচ হওয়ায় শাহজাদের মতো আসগরও হাত খুলে খেলেছেন। ৩৩ বলে ৪৫ রান করা শাহজাদকে ফিরিয়েছেন ট্রাম্পলম্যান। নাজিবুল্লাহ দ্রুত ফিরলে রানের গতি বাড়ে মূলত মোহাম্মদ নবি ও আসগর আফগানের কল্যাণে। শেষ ম্যাচে ২৩ বলে ৩১ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন আফগান। তাতে ছিল ৩টি চার ও ১ ছয়। একটু বেশি মারমুখী ছিলেন অধিনায়ক নবী। ১৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত থেকেছেন তিনি। নামিবিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ট্রাম্পলমান ও লফটি ইটন।



















































