সুপ্রভাত ডেস্ক »
কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুমকির পরই পদক্ষেপ নিলো পেন্টাগন। শুক্রবার ইসলামিক স্টেট-খোরাসানের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালিয়েছে আমেরিকার সেনা।
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নানগাহারে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের ঘাঁটিতে এই ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় একজন আইএস সদস্যের নিহত হয়েছেন, যিনি আইএসের আফগানিস্তান শাখার একজন মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বলে জানা গেছে।
বিবিসি ও সিএনএনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা।
আফগানিস্তানের মাটিতে এই ড্রোন হামলা নিয়ে আমেরিকান সেনা বাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আর্বান বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। মানবহীন এই অভিযানের প্রাথমিক ইঙ্গিতে মনে হচ্ছে মূল পরিকল্পনাকারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’’
‘আইএস-কে’র একজন মাস্টারমাইন্ডকে লক্ষ্য করে এই হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল। প্রাথমিক ইঙ্গিতসমূহ বলছে, আমরা টার্গেটকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছি। কোনো বেসামরিক মানুষ এই হামলায় হতাহত হয়েছেন- এমন সংবাদ পাওয়া যায়নি।’
বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলা চলে। পর পর দু’টি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের পর গুলি চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান। বিস্ফোরণের জেরে জখম হয়েছেন ১৫০-র বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে শতাধিকের। অসমর্থিত সূত্রে জানাচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যা ১৭০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন আমেরিকার সেনারও মৃত্যু হয়েছে।
কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেন বাইডেন। বিষয়টি নিয়ে পেন্টাগনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর হাজির হন সাংবাদিক বৈঠকে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘যারা এই হামলা চালিয়েছে, যারা আমেরিকার ক্ষতি চায়, তাদের আমরা জানি। আমরা তাদের ক্ষমা করব না। আমরা তাদের ছাড়ব না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করব এবং এর মূল্য চোকাতেই হবে।’’ সাংবাদিক বৈঠকে চোখ ছলছল অবস্থায় এ রকম হুমকি দিয়েছিলেন বাইডেন। তার এক দিন পেরতে না পেরতেই কাবুল বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনাকারীকে খতম করার দাবি করল আমেরিকার সেনা।