সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বিরাট কোহলির অপেক্ষার অবসান হয়েছে। তিন বছর পর তিনি পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিও এটিই। ভারতও পেয়েছে বড় জয়। কিন্তু তবুও তাদের ফিরতে হচ্ছে দেশে। গতকাল রাতে পাকিস্তানের জয়ই নিশ্চিত করে দিয়েছে সেটি।
এশিয়া কাপের ম্যাচে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০১ রানে জিতেছে ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে কোহলির সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রানের লক্ষ্য দেয় তারা। জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানিস্তান। খবর বাংলানিউজের।
টস হেরে ভারত ব্যাট করতে নামে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বে। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মার অনুপুস্থিতিতে ইনিংস উদ্বোধনে তার সঙ্গে আসেন কোহলি। তাতেই বাজিমাত করেছেন। দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষ করে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি।
৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করতে কোহলি খেলেছেন ৫৩ বল। অর্থাৎ পরের পঞ্চাশ রান তিনি করেছেন ২১ বলে। শেষ অবধি ৬১ বলের ইনিংসটি ১২ চার ও ৬ ছক্কায় থেমেছে ১২২ রানে।
হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন লোকেশ রাহুলও। ৪১ বলে ৬২ রান করে তিনি অবশ্য আউট হয়ে গেছেন ফরিদ আহমেদের বলে। আউট হওয়া আরেক ব্যাটার সূর্য কুমার যাদবও (২ বলে ৬) শিকার ফরিদের। এছাড়া ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থেকেছেন ঋষভ পন্থ।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ফিরেছেন শূন্য রানে। তাদের হয়ে একাই লড়েছেন ইব্রাহিম জাদরান। শেষ অবধি অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার করেছেন ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ বল খেলে ৬৪ রান।
দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে ১০নম্বরে খেলতে নামা মুজিব উর রহমানের ব্যাটে। ১৩ বলে ১৮ রান করেছেন তিনি। এছাড়া দুই অঙ্ক পাড় করতে পারা রশিদ খান করেছেন ১৫ রান। ভারতের হয়ে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে এক মেডেনসহ ৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ভুবনেশ্বর।