বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, হামলা, মামলা ও নেতাদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আন্দোলনের গতিরোধ করা যাবে না। দেশের মানুষের হাতে রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এই আন্দোলন। এই আন্দোলনের মালিকানা বাংলাদেশের মানুষের হাতে।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের মাঠে ১১ জানুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চেয়েছিল বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বিশৃঙ্খলা করে দমিয়ে রাখতে। বিএনপি সেটি পরাহত করেছে।
রাজনৈতিকভাবে তাদের পরাজিত করেছি আমরা। ১১ জানুয়ারি গণ অবস্থান কর্মসূচি থেকে একইভাবে শক্ত বার্তা যাবে। চট্টগ্রাম থেকে বার্তা যাবে, এই সরকারের বিদায় নেওয়ার জন্য। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি সেই ধারায় চলতে থাকবে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চাই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, আমার দল কর্মী নির্ভর দল। আমাদের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় দলনেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, আমরা যে আন্দোলনে নেমেছি, এর মধ্যে অনেকে শাহাদাত বরণ করেছেন। রক্তের এই প্রতিশোধ আমরা নেব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক বলেন, সরকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা, জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি ক্রোকের পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু তারেক রহমানের সম্পদ হচ্ছে দেশের মানুষের সম্পত্তি। এই সম্পদ ক্রোক করতে হলে দেশের সব মানুষের সম্পত্তি ক্রোক করতে হবে। সবাইকে জেলে নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির জনসভাকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে মহাসমুদ্রে পরিণত করেছিলাম। ১১ জানুয়ারির গণ অবস্থান কর্মসূচিও জনসমুদ্রে পরিণত হবে। চট্টগ্রাম বিএনপির দুর্ভেদ্য ঘাটি। চট্টগ্রামের প্রতিটি কর্মসূচি সফল হবে।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপির বর্তমান কর্মসূচিগুলো হচ্ছে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে। বিএনপি জনগণকে নিয়ে মাঠে নেমেছে তাই আওয়ামী লীগের মাথাব্যাথা শুরু হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে এই সরকারের পতন ঘটাবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ গত দেড় দশকে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে তা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের এখন মেরামতের প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেরামত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই সরকার থাকলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলনেতা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, ম্যা মা চিং, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, জালাল উদ্দিন মজুমদার, বেলাল আহমদ, উদয় কুসুম বড়ুয়া, মশিউর রহমান বিপ্লব, আবু তালেব, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপন তালুকদার, আব্দুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, আলাল উদ্দিন আলাল, বান্দরবন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ।