জাহিদ হাসান হৃদয়, আনোয়ারা »
গ্রীষ্মের কাঠফাটা গরমে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকে, তখন চারিদিকে তরমুজের আবাদও হয় বেশি। তবে শীতকালে এই ফল দেখা না গেলেও আনোয়ারা উপজেলায় জনপ্রিয়তা বাড়ছে শীতকালীন তরমুজ চাষে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করছে কৃষিবিদরা। বেশি দামে জমিতেই তরমুজ বিক্রি করতে পারায় কৃষকরাও খুশি।
সরেজমিনে উপজেলার রায়পুর কোস্টগার্ড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সরকারি অনাবাদি জমি লিজ নিয়ে কয়েক হেক্টর জমিতে করা হয়েছে তরমুজের চাষ। ইতিমধ্যে এসব ক্ষেতে তরমুজ বিক্রয়ের উপযুক্ত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসেও এসব তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তরমুজ চাষীরা।
এই এলাকার তরমুজ চাষী আক্তার হোসেন জানান, সরকারি ভাবে লীজ নিয়ে ১ হেক্টর জমিতে কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসের দিকে ট্রপি ও গ্লোরি জাতের তরমুজ চাষ করেছি। শুরু থেকে এই পর্যন্ত দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। মোটামুটি ফসল ভালো হয়েছে।
সপ্তাহখানেক পর থেকে প্রথম চালান বিক্রি করতে পারবো। এরই মধ্যে কয়েকদিনে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মত খুচরায় তরমুজ বিক্রি হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সোহেল নামের বরুমছড়া ইউনিয়নের আরেক তরমুজ চাষী বলেন, আমি গতবছরও তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছি। এবারও কয়েক জাতের তরমুজ চাষ করলাম। আমার দেখাদেখিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার এলাকায় আরো কয়েকজন শীতকালীন তরমুজ চাষ করেছে। ফসল ভালো হচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এবারও লাভের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারখাইন, রায়পুর, বরুমছড়া, হাইলধর, চাতরী,বারশত ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে গ্লোরি, বিগ ফ্যামিলি, চ্যাম্পিয়ন, আনার কলি, টপ ইল্ড, গ্লোরি জাম্বু, ড্রাগন সুপার,হাইব্রিড তরমুজ পাকিজা ইত্যাদি জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী বলেন, আগে গহিরা এলাকায় কিছু কিছু তরমুজ চাষ করা হতো; তবে আমরা বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। ইতিমধ্যে চাষকৃত জমিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। তরমুজের আবাদ বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা অধিকমাত্রায় তৎপর রয়েছে বিশেষ করে বালুময় অনাবাদি জমিকে আবাদ করার চেষ্টা চলমান রয়েছে। যারা আবাদ করতে চায় তাদের সব ধরনের সহায়তা প্রধান করবে বলেও এই কর্মকর্তা জানান।