সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
আবারও ভারতীয় স্পিনে নাকাল হলো অস্ট্রেলিয়া। ভারতের মাটিতে কেন টেস্ট জয় সবচেয়ে কঠিন, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে প্যাট কামিন্সের দল। ভারতীয় স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতেই পারছে না তারা।
যার ফলে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য কেবল ১১৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছিলো ভারতীয়রা। যা টপকাতে ২৬.৪ ওভার এবং ৪টি উইকেট খরচ করতে হয়েছে ভারতকে। অর্থ্যাৎ মাত্র আড়াই দিনে ৬ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে আরও এগিয়ে গেলো রোহিত শর্মার দল। খবর জাগোনিউজ’র
ভারতীয়দের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াও স্পিন শক্তির ব্যবহার করেছে। কিন্তু লক্ষ্যটা খুব কম হয়ে যাওয়ায় ভারতের জয় পেতে সমস্যা হয়নি। তবুও ১১৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে ভারতকে চেপে ধরার চেষ্টা করেছিলেন নাথান লিওন এবং টড মারফিরা। কিন্তু চাপে থেকেও লক্ষ্য কম হওয়ায় ম্যাচ বের করে আনতে সমস্যা হয়নি ভারতের। ১১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পরপরই লোকেশ রাহুলের উইকেট তুলে নেন নাথান লিওন। টড মারফির বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলেন বিরাট কোহলিও। ¯্রয়োশ আয়ার করেন ১২ রান। চেতেশ্বর পুজারা ৩১ রানে এবং শ্রিকার ভারত ২২ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে যান। লিওন ২টি এবং মারফি ১টি উইকেট নেন। রোহিত শর্মা হলেন রানআউট। প্রথম ইনিংসে ভালোই ব্যাট করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। করেছিলেন ২৬৩ রান। অশ্বিন-জাদেজারা তখন বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেননি। যদিও দু’জন ৩টি করে মোট ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ৪ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একা এক রবিন্দ্র জাদেজার তোপের মুখে পড়েই দিশেহারা হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। একাই ৭ উইকেট নেন জাদেজা। ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে সফরকারীদের ইনিংসে প্রথম ধাক্কা দেন অশ্বিন। পরপর আউট করেন হেড এবং স্টিভ স্মিথকে (৯)। এরপর সফরকারীদের কাঁপুনি ধরিয়ে দিল জাদেজার স্পিন। হেড ৪৬ বলে ৪৩ রান করলেন ছয়টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে। তিনি ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বলার মতো রান ল্যাবুশানের। তার ব্যাট থেকে এল ৫০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। পাঁচটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। সফরকারীদের আর কোনও ব্যাটার দু’অঙ্কের রান করতে পারলেন না। ম্যাট রেনশ (২), পিটার হ্যান্ডসকম্ব (০), অ্যালেক্স ক্যারে (৭), কামিন্স (০), লায়ন (৮), ম্যাথিউ কুনেম্যান (শূন্য) কেউই দলের ইনিংসকে নির্ভরতা দিতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন টড মারফি। দিল্লিতে টেস্টে ক্রিকেটে নিজের সেরা বোলিং করলেন জাদেজা। ৪২ রান খরচ করে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এর আগে তার সেরা বোলিং ছিল ৪৮ রানে ৭ উইকেট। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে পরপর দুই টেস্টে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন জাদেজা। টেস্টে এই নিয়ে ১২ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি। দুইবার পেলেন ১০ উইকেট। প্যাট কামিন্সদের কাছে ক্রমশ ‘উদ্বেগ’ হয়ে উঠছেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। অন্য দিকে অশ্বিন ৩ উইকেট পেলেন ৬৯ রান খরচ করে।