নিজস্ব প্রতিবেদক »
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম জুড়ে শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে ৫ লাখ ৪১ হাজার এবং চট্টগ্রামের সবগুলো উপজেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে চসিক জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চসিকের এ ক্যাম্পেইনের বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়। এতে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা বলেন, ‘মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগ ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ সময় ৬ থেকে ১১ মাসের ৮১ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের (১ লাখ ইউনিট) ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল (২ লাখ ইউনিট) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শাল দুধ এবং ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করাতে পুষ্টিবার্তা ক্যাম্পেইন প্রচার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের নাজমাঈ ডেমিরেল সিটি করপোরেশন দাতব্য চিকিৎসালয় মিলনায়তনে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী চসিকের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করবেন। কেন্দ্রের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এলাকার দুর্গম এলাকায় ও পথ শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সার্বিকভাবে পুরো ক্যাম্পেইন পর্যবেক্ষণ করবো। আমাদের আওতাধীন এলাকার কোনো শিশু যেন বাদ না পড়ে, আমরা সে দিকে লক্ষ্য রাখবো।’
তিনি বলেন, ‘ভিটামিন এ ক্যাপসুল ভরা পেটে খাওয়াই ভালো। বিষয়টি অনেক অভিভাবক হয়তো জানেন না। তারা যেন এ বিষয়টি খেয়াল রাখেন। এছাড়া এ ক্যাপসুল খাওয়ার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তাই কারো কোনো সমস্যা হবে না। এরপরও কোনো শিশু যদি আগে থেকে জ্বর থাকে বা ফ্লু-জনিত সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে সামান্য বমি হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে চসিকের স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. সুমন তালুকদার, ডা. আখিল মাহমুদ, চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে অন্য একটি সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার ২০০টি ইউনিয়নে একযোগে আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরজন্য স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ ৪ হাজার ৮৩২ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও বিভিন্ন স্টেশন, টার্মিনাল, লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে শিশুকে টিকা দেওয়া যাবে।