নিজস্ব প্রতিবেদক »
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে এ সরকারকে তারা বিদায় করবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে দেশে নিরপেক্ষ সংসদ ও নিরপেক্ষ সরকার আনবে সাধারণ মানুষ।
তিনি শনিবার বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ি নুর আহম্মেদ সড়কে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কাজীর দেউড়ি নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু করে লাভলেইন মোড়, জুবলী রোড়, তিনপুলের মাথা, বোস ব্রাদার্স, ডিসি হিল, বৌদ্ধ মন্দির, লাভলেইন হয়ে পূনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে এসে শেষ হয়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
আওয়ামীলীগ আজ এতিম হয়ে গেছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো আর পন্থা নেই। রাজপথে জনগণকে নিয়ে এ ফ্যাসিস্টকে হঁটাতে হবে। ঢাকায়ও আমাদের সমাবেশ হয়েছে। লোকে লোকারণ্য ছিল এ পদযাত্রা। আওয়ামী লীগ আজ এতিম হয়ে গেছে।
বিশ্ব বিবেক আজ আজ বিএনপির পাশে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যদি আগের নির্বাচনের মতো করেন, দিনের ভোট রাতে চুরি করেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ বুঝিয়ে দেবে ‘কত ধানে কত চাল। আজকে আওয়ামী লীগ ভীত হয়েছে। বিশ্ব বিবেক আজ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা বার্তা দিচ্ছেন পরিষ্কারভাবে। যদি বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিচের দিকে যায় তাহলে তাদের সাথে সম্পর্কও নিচের দিকে যাবে। ভোট চুরির নির্বাচন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন, মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে বাঁচার কোনো সুযোগ নেই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মীর নাছির উদ্দিন বলেন, আমরা মেগা পদযাত্রা শুরু করলাম। আরেকটা দলের ছটফটানি শুরু হয়ে গেছে। সে দল হচ্ছে চোরের দল, ডাকাতদের দল, ব্যাংক লুটেরাদের দল, মানি লন্ডারিং-এর দল। সে দলের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, আমাদের পদযাত্রার কাউন্টার প্রোগ্রাম আওয়ামী লীগ প্রতিটি ইউনিয়নে দিয়েছে। এ কাউন্টার প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাদের আসল চেহারা উম্মোচিত হয়েছে।
জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, যে সরকারেরর অধীনে কবর থেকে উঠে এসে মরা মানুষ ভোট দেয় তাদের অধীনে নির্বাচন আমরা মানিনা। আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করেছিলাম একবার আর বিশ্বাস করবো না। তারা আবার ছলছাতুরি শুরু করেছে।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, সারাদেশে বিএনপির ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচিতে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের লক্ষে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এই পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে। কোন ধরনের ভয় ভীতি দেখিয়ে আন্দোলনকে দমানো যাবেনা। দমানোর চেষ্টা করলে এর ফল ভাল হবেনা।
পদযাত্রা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কেখোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, পেশাজীবী নেতা বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার, আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ প্রমুখ।