নকশার পরিবর্তন
নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামকে নতুনভাবে সজ্জিত ও খেলার উপযোগী করার নকশা পরিবর্তন করা হচ্ছে। পূর্ব ঘোষণায় গতকাল (রোববার) থেকে আউটার স্টেডিয়ামের চারিদিকে সীমানা প্রাচীর করার কাজ শুরুর কথা ছিল। আগের নকশায় কাজ করতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা দেখা দিলে গতকাল স্থপতি আশিক ইমরান ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন জাহাঙ্গীর সরেজমিনে নির্ধারিত স্থান দেখার পর কাজের সুবিধার জন্য নকশায় পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন। আজকালের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত করে সীমানা প্রাচীর দেয়ার কাজ শুরু করা হবে বলে তারা জানান। এ লক্ষ্যে শ্রমিকদের জন্য স্টেডিয়ামের পাশে শেডও করা হচ্ছে।
ক্রীড়াবিদ তৈরির সুতিকাগার চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন থেকে খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে। এখানে বছরজুড়েই মেলাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান লেগেই ছিল। গরুর মেলা (ক্যাটল এক্সপো) থেকে শুরু করে বাণিজ্য মেলা-এমন কোনো মেলা নাই যা আউটার স্টেডিয়ামে হয়নি। এমনকি ট্রাক রাখার স্থান হিসেবেও এই মাঠকে ব্যবহার করা হয়েছে।
খেলার মাঠ মেলামুক্ত রাখার দাবি চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের। সেই দাবি পূরণে অনেকদূর এগিয়ে গেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা। ইতোমধ্যে আউটার স্টেডিয়াম দখলমুক্ত হয়েছে। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে খেলার মাঠে ফেরার কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে।
নকশা অনুযায়ী আউটার স্টেডিয়ামের সংস্কার করা হবে পুরো মাঠ। বর্তমান মাঠের ওপর দুই ফুট মাটি ফেলে ভরাট করা হবে। এরপর সেখানে সবুজ ঘাস লাগিয়ে সেটিকে খেলার উপযোগী করা হবে। পুরো আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট, এরমধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে ক্রিকেটের নেট প্র্যাকটিস ব্লক। যেখানে থাকবে চারটি নেট। আর স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য হবে গ্যালারি। সার্কিট হাউজ প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া থাকবে ড্রেসিং রুম ও একটি টয়লেট ব্লক। মাঠের চারপাশে সবুজ বেষ্টনী তৈরি করতে লাগানো হবে গাছ। যাতে একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ পাওয়া যায়। মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোনায় মূল প্রবেশ পথ ছাড়াও মাঠের পূর্ব পাশে আরেকটি প্রবেশ পথ থাকবে। সবমিলিয়ে নতুন ডিজাইনে আউটার স্টেডিয়াম হবে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা।