সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনকালে সুজন
করোনা পরিস্থিতি ও সুরক্ষা ব্যবস্থা জানতে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), জেলা সিভিল সার্জনের সাথে মতবিনিময় শেষে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালসমূহে পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল শনিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু করে মতবিনিময় শেষে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনে যান তিনি।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর এর সাথে মতবিনিময়কালে সুজন বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এখনই পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর নিকট একগুচ্ছ প্রস্তাবনা পেশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তনের লক্ষ্যে প্রথমেই একটি হট লাইন নম্বর চালু করতে হবে। যেখানে ফোন করে রোগীর আত্মীয় স্বজন কোন হাসপাতালে কতটি সিট এবং আইসিইউ খালি আছে তার তথ্য পাবেন। এতে করে রোগী নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘোরাঘুরি করার ভোগান্তি কমবে।
অনলাইনে হাসপাতালের সিট অথবা আইসিইউ বুকিং করার সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান সুজনের। এছাড়া মিথ্যা বুকিংয়ের নামে সিট এবং আইসিইউ বুকিং করে রাখার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে সিট এবং আইসিইউ’র তথ্য প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া করোনার টিকা গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রবাসীরা বিদেশ যেতে পারছে না। ফলে বিদেশে তাদের চাকুরিহারা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রবাসীদের টিকা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানান তিনি।
এরপর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি’র সাথে মতবিনিময় করেন সুজন।
করোনা চিকিৎসায় জেনারেল হাসপাতালের উজ্জীবিত ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন করোনা চিকিৎসায় জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা চট্টগ্রামের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা এবং সুযোগ্য নেতৃত্বে কোভিডকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে ঠিক একইভাবে এবারও করোনা নিয়ন্ত্রণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, কোন অবস্থাতেই সরকার এবং জনগণের মাঝে কোন প্রকার দূরত্ব কিংবা ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি করা যাবেনা। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রামের বেসরকারী মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, ম্যাক্স হাসপাতাল ও পার্কভিউ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বলেন বেসরকারি হাসপাতালগুলো গতবারের করোনা চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা ও অবহেলা পেছনে ফেলে বর্তমানে সাহসের সাথে করোনা চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছেন যা প্রশংসার যোগ্য। তবে এখনো বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগী কিংবা তার আতœীয় স্বজনদের অভিযোগও কম নয়। বিশেষ করে অযৌক্তিক বিলের কারণে প্রায়শই রোগীর আত্মীয় স্বজনের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, অনির্বাণ দাশ বাবুসহ বেসরকারি হাসপাতাল মালিক এবং চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি