নিজস্ব প্রতিবেদক »
জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ইশতেহারের ধারে কাছে যায়নি। সবক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগ একটি সুবিধাবাদি দল তৈরি করেছে।’ শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মানুষকে মুক্তচিন্তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সরকার জনগণের জবাবদিহিমূলক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। যেকোনো ধরনের সমালোচনা করলে রাষ্ট্র বিরোধী কথা হলে সাইবার আইনে মামলা করা হচ্ছে। সমালোচনা নিতে না পেরে আইন দিয়ে মুখ বন্ধ করা হচ্ছে। সরকার সাইবার আইন করে জনগণকে মুক্তচিন্তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। শুধু তাই নয়, সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে।
ব্যাংক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকগুলো খালি করা হয়েছে। বাংলাদেশের রিজার্ভ খারাপের থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। দশ বিলিয়নের কম হলে কোন দেশের এলসি হবে না। অথচ সরকারের এমপিরা অনেকে আমেরিকা বাড়ি করেছে। তারা কিভাবে টাকা নিয়ে গেছে?’
জাতীয় পার্টি আরও উজ্জীবিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালের পর থেকে যখনই যে ক্ষমতায় গেছে, জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। এই সরকারও জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কেউই জনগণের হৃদয় থেকে জাতীয় পার্টিকে, লাঙ্গল প্রতীককে মুছে ফেলতে পারেনি। বরং আজকে সেই লাঙ্গল প্রতীক, জাতীয় পার্টি আরও উজ্জীবিত হয়েছে, আরও শক্তিশালী হয়েছে। ক্ষমতার জন্য জাতীয় পার্টি লড়াই করছে না। হয়তো ভবিষ্যতে জনগণের আশা পূরণ করতে পারি।’
সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, ‘৯০ সালের ফতোয়া দিয়ে ছিল, জাতীয় পার্টিকে কোনো দলে নেওয়া হবে না। কিন্তু এখন বিএনপি বলে কি কি লাগবে? আওয়ামী লীগ বলে আমাদের রেখে চলে যাবেন। পরবর্তী সময়ে আপনাদের মূল্যায়ন করা হবে। জাতীয় পার্টি থেকে ৩ শত আসনে মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করব। ’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো- চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহুরুল ইসলাম জহির, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী ও এটিকিউ তাজ রহমান।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠকে পুনরায় মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও ইয়াকুব হোসেনকে সিনিয়র সহ সভাপতি এবং আবু জাফর মাহমুদ কামালকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।