‘নগরীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শেষ কৃত্যানুষ্ঠানের স্থান অভয়মিত্র মহাশ্মশান উন্নয়ন সংস্কার ও রক্ষণা-বেক্ষণের দায়-দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হলেও এই কাজে সহায়তায় বেসরকারি ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততার আগ্রহকে স্বাগত জানাই।’
বৃহস্পতিবার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক নগর ভবনে অভয়মিত্র মহাশ্মশানের সংস্কার ও উন্নয়নে সহায়তা প্রদানে আগ্রহী অদুল-অনিতা ট্রাস্টের কো-চেয়ারম্যান অনিতা চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর মহাশ্মশানটি পরিদর্শনে গেলে এখানকার সমস্যা ও অব্যবস্থাপনাগুলোর বিষয়ে জানতে পারি। জানতে পারি পূর্ণিমা-আমবশ্যা তিথিতে কর্ণফুলীতে জোয়ারের সময় মহাশ্মশানটিতে হাঁটু পানি দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শবদেহের শেষকৃত্য শেষ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই সমস্যার প্রধান উপায় হলো শ্মশানটি ২-৩ ফুট মাটি ভরাট করে উঁচু করা। এছাড়া এখানকার মন্দির সংস্কার ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নও প্রয়োজন।
তিনি অদুল-অনিতা ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে ধর্মানুরাগী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তা সত্যিকার অর্থেই একটি ধর্মীয় ও মানবিক সামাজিক উদ্যোগ। আশা করি অভয়মিত্র মহাশ্মশানের উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত স্থাপনায় চসিকের পাশাপাশি অদুল-অনিতা ট্রাস্টের সহায়তা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আকাক্সক্ষা পূরণের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। প্রশাসক চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মানিককে অভয়মিত্র মহাশ্মশানের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করার নির্দেশনা দেন।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ডা. অঞ্জন কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর