নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরীর কোতোয়ালী থানার নন্দনকানন এলাকায় ১১ বছর বয়সী পঞ্চম শ্রেণীর এক শিশু নিখোঁজের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর অপহরণকারী শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার বিকালে বান্দরবান সদর থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নোবেল চাকমা।
জানা যায়, শনিবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় নগরীর নন্দনকাননের ১ নম্বর গলির রাস্তার মোড়ে পাহাড়িকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা থেকে শিশুটি হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঐদিন কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ভিকটিমের পিতা উত্তম সরকার। পরদিন (১৩ আগস্ট) রাত ১০ টায় অপহরণের ঘটনার সাথে জড়িত বলে দাবি করে কোতোয়ালী থানায় মো. মনজুরুল আলম (৩৪) নামের এক শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম নগরীর নন্দনকানন এলাকার একটি বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। একই এলাকার ম্যাজিস্ট্রেট কলোনিতে ঐদিন বিকেল ৪টায় প্রাইভেট পড়তে গেলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়ও শিশুটি বাসায় ফিরে আসেনি। সেদিন বিকাল আনুমানিক ৪ টায় ঐ শিশু প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলো। পরে তার অভিভাবক প্রাইভেট শিক্ষিকার বাসায় খোঁজ নিতে যায়। মামলার আসামি মো. মনজুরুল আলম ঐ শিশুটিকে নিয়ে যায় বলে ধারণা করছে শিশুটির পরিবার। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, অপহরণকারী মো. মনজুরুল আলম (৩৪) স্থানীয় নন্দনকানন এলাকার এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খ-কালীন শিক্ষকতা করেন। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দেন। পূর্ব পরিচয়ের ভিত্তিতে ভিকটিমের পরিবার শিশুটিকে মনজুরুল আলম নিয়ে গেছেন বলে ধারণা করছেন। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান স্থানীয়রা।
মামলার বিষয়ে জানতে ভিকটিমের পিতা উত্তম সরকারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হননি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার সন্ধ্যায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার এস আই মোশাররফ বলেন, ‘বর্তমান মামলাটি তদন্তে রয়েছে। পরে আপনাদের জানানো হবে।’
এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় ভিকটিমকে খোঁজে না পেয়ে তার বাবা বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঐ স্কুলের শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশের একটি টিম বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে ঐ শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এ সময় ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে এখন আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। বিস্তারিত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যাবে।’