দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি পুরস্কার পেয়েছেন একুশে পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক শরীফুল রুকন। তিনি পুরস্কারটি উৎসর্গ করেন একুশে পত্রিকার সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক আজাদ তালুকদারকে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারের উদয়পদ্ম কনফারেন্স রুমে এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান করা হয়।
গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য দেশের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে এটি বিবেচিত হয়।
এ বছর শরীফুল রুকনের পাশাপাশি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় ‘টিআইবি পুরস্কার’ পেয়েছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মিজবাহ ও কালের কন্ঠের সাভার প্রতিনিধি জাহিদ হাসান সাকিল। এছাড়া প্রামাণ্য অনুষ্ঠান বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের তালাশ।
একুশে পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক শরীফুল রুকন টিআইবির এবারের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারটি পান ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট একুশে পত্রিকায় প্রকাশিত ‘নকল ওষুধ চক্রের কাছে অসহায় কোম্পানিগুলো’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য। উক্ত মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে ‘ওষুধ পরীক্ষার নামে প্রহসন!’ ও “ঔষধ প্রশাসন ও পুলিশের যোগসাজশে ‘নকলবাজদের’ মুক্তি!” শিরোনামের দুটি পার্শ্বপ্রতিবেদনও প্রকাশিত হয় একুশে পত্রিকায়।
পুরস্কার পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় একুশে পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক শরীফুল রুকন বলেন, ‘আমাদের প্রয়াত সম্পাদক আজাদ তালুকদার ভাইয়া আজীবন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন। বেঁচে থাকলে দেশের সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র জগৎ আরও ঋদ্ধ হতো। তাঁর অকালে চলে যাওয়ার শূন্যতা অপূরণীয়। সেই শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন একুশে পত্রিকার কর্মীরা।’
‘যদিও আজাদ তালুকদার ভাইয়ার মৃত্যুজনিত শূন্যতা সহজে পূরণ হবে না। সাংবাদিকতায় সৃজনশীলতা, শুদ্ধতা আর উৎকর্ষের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি। সাংবাদিকতার এ কঠিন সময়ে তার মতো মেধাবী সাংবাদিক, নির্মোহ ও ভালো মানুষের প্রয়োজন ছিল।’ বলেন শরীফুল রুকন।
প্রতিবছর টিআইবি দেশের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
এর আগে তিনি অভিবাসন বিষয়ক সাংবাদিকতায় ‘ব্র্যাক মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ও অর্জন করেন। বিজ্ঞপ্তি