সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
তামিম ইকবালের অবসর, ফিরে আসা আবার নেতৃত্বে ছেড়ে দেওয়া; এসব কাণ্ডে বেশ বেকায়দায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শুধু নেতৃত্ব ঠিক করার জন্য জরুরি বোর্ড মিটিং ডেকেও সেটি ঠিক করতে পারেনি তারা। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সেই সভায় সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অধিনায়ক চূড়ান্ত করার দায়িত্ব নিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বোর্ড সভা শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। প্রশ্ন-উত্তর পর্ব শুরুর আগে জালাল ইউনুস অধিনায়কত্ব ঠিক করতে না পারা ও বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি জানান।
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আজকে আমাদের একটা ইমার্জেন্সি মিটিং ছিল। ইমার্জেন্সি মিটিং ডাকার জন্য একটা কারণ ছিল সেটা ক্যাপ্টেন্সির ব্যাপারে। মূলত এশিয়া কাপের ক্যাপ্টেন নির্বাচনের কথা ছিল। আমরা আজকে বোর্ড সভায় বসেছিলাম। পরে বোর্ড থেকে আমরা সবাই মাননীয় বোর্ড সভাপতিকে ক্যাপ্টেনসি সিলেক্ট করার জন্য, ক্যাপ্টেন সিলেক্ট করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি।’ খবর রাইজিংবিডি’র।
অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে যারা এগিয়ে আছেন তাদের সঙ্গে একান্তে কথা বলবেন বিসিবি সভাপতি। বিস্তারিত আলোচনার পর আসবে সিদ্ধান্ত। ১২ আগস্ট এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষণার শেষ দিন। এ দিনের আগেই অধিনায়কসহ দল ঘোষণা হবে বলে জানান জালাল ইউনুস।
‘উনি (বিসিবি সভাপতি) এখন ভেবেচিন্তে যে কয়জন সম্ভাব্য প্রার্থী আছে অধিনায়কত্বের জন্য তাদের সাথে কথা বলে আমাদের (অধিনায়ক) ফাইনাল করবেন। আশা করি, দুই-তিন দিনের মধ্যে ১২ আগস্টের আগে আমাদের ডেটলাইন আছে তার আগে অধিনায়ক চূড়ান্ত করে আপনাদের জানিয়ে দিবো’- যোগ করেন জালাল ইউনুস।
তামিম দায়িত্ব ছেড়ে শুধু খেলায় থাকার ঘোষণা দেন ৩ আগস্ট। এরপর থেকে মূলত শুরু নতুন নেতৃত্ব খোঁজা। দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন সাকিব আল হাসান। এ ছাড়া লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গেও নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলবেন নাজমুল হাসান পাপন।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘আপনারা জানেন সাকিব আছে। লিটন আছে। আরেকজন আমাদের প্রমিজিং মিরাজ আছে। সেও একজন আমাদের অনেকের মধ্যে নামগুলো উঠে এসেছে। এবং এদের নামগুলো আপনারাও সবাই জানেন। এদের মধ্য থেকে এদের সঙ্গে মূলত আলাপ আলোচনা করা হবে।’
অধিনায়ক ঠিক করার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি সভা ডাকে বিসিবি। তবে গতকাল আগেই বিসিবিতে চলে আসেন সভাপতিসহ বিসিবির পরিচালকরা। এদিন বিসিবিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসার জন্মদিন উপলক্ষে ছিল দোয়া ও মিলাদ। তাছাড়া বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করেন বিসিবি কর্তারা।