বাঁশখালীতে ১৩ ইউপিতে নির্বাচন আজ
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী »
বাঁশখালীর ১৩ ইউনিয়নে আজ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল দিনভর ১২৭টি ভোট কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ইভিএম পৌঁছেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৫ প্লাটুন বিজিবি, ৬০ জন র্যাব ও ১৪শ’ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী উপজেলায় ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা ১৫৪ জন, সাধারণ সদস্য ৫৪৭ জন। ১২৭টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮৩৪, মোট ভোটার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩৬ জন। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রিসাইডিং অফিসার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ১৬০ জন, সহকারী প্রিসাইডিং ৯৭০ জন, পোলিং অফিসার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ১ হাজার ৯১৩ জন।
চাম্বল ইউনিয়নে স্থগিত ভোটকেন্দ্র ছাড়া বাকী ১৩ ইউনিয়নের ১২৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১৪টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তন্মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪৭টি ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ৬৭টি। অর্থাৎ প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। ১৩ ইউনিয়নের মাত্র ১৩টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকির আওতার বাইরে। এছাড়া বর্ষাকাল হওয়ায় অন্ততঃ ৩২টি ভোটকেন্দ্রে যোগাযোগে চরম দূরবস্থা রয়েছে। ১৫ জুন বৃষ্টি হলে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণও দূরহ হবে।
অপরদিকে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাঁশখালীর ১৩ ইউনিয়নে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ২৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ২৭ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থীকে ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। অভিযানে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম বলেন, ‘বাঁশখালীতে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে দিনরাত প্রার্থী ও সমর্থকদের সতর্ক করেছি। ইতোমধ্যে ৩টি মামলা করা হয়েছে। কেউ সন্ত্রাস করলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি, র্যাব টহলের পাশাপাশি একজন ওসির নেতৃত্বে ২৬টি মোবাইল টিম, ৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।