নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ »
আরো অনেক আগেই ভোটার হওয়ার বয়স হয়েছিল চন্দনাইশের বৃদ্ধা ফাতেমা বেগমের। তবে তিন ছেলে প্রবাসে থাকায় সচেতনতার অভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি ভোটার তালিকায়।
গতকাল বুধবার চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ছেলে আর বউকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ভোটার হতে। নির্বাচন কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম মানবিক কারণে তাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ফরম পূরণ থেকে শুরু করে ছবি তোলা পর্যন্ত যাবতীয় কাজ করে দেন।
ফাতেমা বেগমের বড় ছেলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মা অসুস্থ। দেশের বাইরে ছিলাম। আইডি কার্ডের ব্যাপারে তেমন সচেতন ছিলাম না। এখন পরিবারের জায়গা জমি সংক্রান্তসহ বিভিন্ন কাজে মায়ের আইডি কার্ড প্রয়োজন হচ্ছে। তাই নির্বাচন অফিসে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ভোটার হতে আবেদন জমা দিয়ে ছবি তুলেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, তিন ছেলে দেশের বাইরে থাকাতে কেউ দায়িত্ব নিয়ে তাকে ভোটার করানোর কাজটি করে দেয় নি। কিছুদিন আগে বড় ছেলে সিরাজুল ইসলাম দেশের বাইরে থেকে ফিরে ভোটার হতে এসেছিলেন তখন জানিয়েছেন ওনার বৃদ্ধ মা ভোটার হতে পারেন নি। বর্তমানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ বন্ধ। ২০২২ সালের দিকে হয়তো ভোটার তালিকা হালনাগাদ হতে পারে। কিন্তু মানবিক কারণে তাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দ্রুত তাকে এনআইডি কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।