নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ »
চন্দনাইশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এলপি গ্যাসের অবৈধ ‘ক্রসফিলিং’ ব্যবসা (অবৈধভাবে সিলিন্ডারে গ্যাসভরা)। এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সেই সঙ্গে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনই প্রতারিত হচ্ছে সাধারণভোক্তারা।
দীর্ঘদিন ধরে এলপি গ্যাসের অবৈধ ‘ক্রসফিলিং’ ব্যবসা পরিচালনা করায় চন্দনাইশের বৈলতলী ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৮০টি গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ক্রসফিলিংয়ের অপরাধে মাহবুবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয়।
গত রোববার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বশরত নগর লামার বাজারে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।
ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে একটি অসাধুচক্র চন্দনাইশ উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে সিলিন্ডারে গ্যাস ক্রসফিলিং করে আসছিল এবং লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিভিন্ন কোম্পানির নকল স্টিকার ব্যবহার করে সিলিন্ডারগুলো বাজারজাত করছিল। এসব ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারগুলো যেকোন সময় বিস্ফোরিত হয়ে গ্রাহকের বাসায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি সিলিন্ডারগুলোতে অনেক সময়েই ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে চন্দনাইশ উপজেলার ইউএনও নাছরীন আক্তারের নির্দেশে উপজেলায় সিলিন্ডার ক্রসফিলিং কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়। এ অভিযানে আটক মাহবুবুর রহমানকে ১ লাখ টাকা অর্থদ- প্রদান করা হয় এবং ভবিষ্যতে অবৈধ উপায়ে গ্যাস সিলিন্ডার ক্রসফিলিং করবে না মর্মে তার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়। জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।