নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঈদের পরদিন ঘোরাঘুরিতে ৩৮ মামলায় ২৬ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করেন। আজ ৬টি টিম নগরজুড়ে পরিচালিত অভিযানে এই মামলা ও জরিমানা আদায় করে।
নগরীর আকবরশাহ ও পাহাড়তলী থানায় নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত অভিযানে যাত্রীবাহি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস এবং হোটেল ও মুদি দোকানকে চারটি মামলা দেয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা অর্থদণ্ডও আদায় করা হয়।
নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট কে এম ইশমাম চান্দগাঁও ও চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাস্তায় এক মোটর সাইকেলে তিন বা তার চেয়ে বেশি আরোহী নিয়ে চলাচল করেছে। এছাড়া হেলমেট ও গাড়ির প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস না থাকায় ৫ মামলায় ১৬০০ টাকা জরিমানা করেছে।
নগরীর পাঁচলাইশ, খুলশি ও বায়েজীদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান। সিএনজি গণপরিবহন আকারে যাত্রী পরিবহন করায় দুই সিএনজি চালককে ৬০০ টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম ডবলমুড়িং ও হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলার কারণে ৭ মামলায় ৪,৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পতেঙ্গার সাগর পাড়ে আজ মানুষের উপস্থিতি ছিল বেশি। ট্রাক ও মাইক্রোবাসে করে মানুষ বেড়াতে গেছে পতেঙ্গায়। এতে সামাজিক দূরত্ব না মানায় নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় ২০ মামলায় ১৮,৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অনিয়ন্ত্রিত ঈদ ‘উদযাপন‘
করোনা উপেক্ষা করে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরাঘুরির অভিযোগে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ১৫৭ টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে।
এর আগে সিএমপির পক্ষ থেকে করোনা সতর্কতার অংশ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকেই ঘুরাঘুরি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় নগরীর ১৬ থানায় মোট ১৫৭ টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে
করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করতে নিষেধ করা হয়েছিল। একইসাথে নগরীর সকল শিশুপার্কগুলোও বন্ধ রয়েছে।