নিজস্ব প্রতিবেদক »
দীর্ঘ একমাস পর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কর্মী চম্পা চাকমা হত্যার প্রধান আসামি এনামুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের উত্তর পারুয়া গ্রামের মো. নুরুজ্জামানের ছেলে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে সিলেটের জৈন্তাপুর থানার আসামপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন র্যাব। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছেন এনামুল।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।
তিনি জানান, কিস্তির টাকা নিয়ে বাকবিত-ায় রাঙ্গুনিয়ায় প্রকাশ্যে এনজিওকর্মী চম্পা চাকমার শ্বাসনালীতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. এনামুল হক এনামকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব সূত্রে আরও জানা যায়, ৫ মার্চ রাতে অফিসের কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে সহকর্মী সপ্তর্ষী চাকমাসহ বের হয়েছিলেন ওই এনজিওকর্মী। সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়েছিল ঘাতক এনাম। ঋণের কিস্তি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বাকবিত-ার একপর্যায়ে এনাম পেছন থেকে চম্পা চাকমার গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নিহত চম্পা চাকমার বোন জামাই সোহেল চাকমা বাদি হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মো. এনামুল হককে আসামি করা হয়। চম্পা চাকমা রাঙামাটির বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিময় চাকমার মেয়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘পদক্ষেপ’ এর রাঙ্গুনিয়া ব্রাঞ্চের সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘাতক এনাম গতবছর ২০ এপ্রিল উক্ত এনজিও হতে তার মায়ের নামে দুই লাখ টাকা ও বোনের নামে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল। পরবর্তীতে এনামুল তার মায়ের নামে ঋণের ৪০ কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ করলেও তার বোনের নামে ঋণের ৬ কিস্তির টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করতে পারেন নি। যা প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা। ২৮ ফেব্রুযারি ওই ঋণের একটি কিস্তি দেওয়ার কথা থাকলেও সে পরিশোধ করতে পারেনি। চম্পা ঋণের ঐ কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য বার বার তাগাদা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এনাম চম্পাকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন।