সংবাদ সম্মেলনে চবি প্রক্টর
চবি সংবাদদাতা»
‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যৌন হেনস্তার শিকার হওয়া ছাত্রী তার অবস্থান সম্পর্কে প্রথমে ভুল তথ্য দেয়। যার কারণে অপরাধীদের ধরতে প্রশাসনকে বেগ পেতে হয় এবং দেরি হয়।’
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চবি প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায় শাটল থেকে নেমে রাতের খাবার শেষে তিনি প্রীতিলতা হলের দিকে ঘুরতে যান। হলের পাশেই হেনস্তার শিকার হন। তাই প্রথম দুইদিন সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু ফুটেজের সাথে ছাত্রীর অভিযোগ মিলছিলো না। পরে ভুক্তোভোগীর সাথে পুনরায় যোগাযোগ করলে তিনি জানান তিনি ভয়ের কারণে মিথ্যা বলেছেন। ঘটনা রাত ১০টারও পরের। ঘটনাস্থল ও প্রীতিলতা হলের পাশের না। মূল ঘটনাস্থল দক্ষিণ দিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরে একটি পুকুর আছে। পুকুরের পূর্ব পাড় থেকে ভেতরে একটি রাস্তা আছে। সেখানে ওই ছাত্রী তার বন্ধুর সাথে বসে গল্প করছিলেন। তখন অভিযুক্তরা দুটি বাইক নিয়ে ওই জায়গায় আসলে তাদের দেখতে পান। এবং পরবর্তী হেনস্তার ঘটনা ঘটে। মূলত ছাত্রীর ভুল তথ্যের জন্য অভিযুক্তদের ধরতে কয়েকদিন দেরি হয়।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় ৫ জন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সাথে থাকা তার বন্ধুকেও মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাদের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ। ২৩ জুলাই অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।